নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজোর(Durga Puja) সময় থেকে বিসর্জনের শোভাযাত্রা মায় লক্ষ্মীপুজোর(Lakhi Puja) রাতেও শহরের একাধিক জায়গায় শব্দবাজি(Crackers) ফাটানোর বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগের জেরেই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসকদের কপালে। কেননা, শব্দবাজির মূল সময় কালিপুজো(Kali Puja)। তার আগেই এবার যেভাবে শব্দবাজির দাপট বেড়েছে তা দেখে এখন তাঁদের প্রশ্ন, এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কালিপুজোয় কী হবে? কার্যত দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত শব্দবাজির জেরে এক দিকে যেমন সমস্যায় পড়েছেন বাড়ির বয়স্ক থেকে শিশুরা, তেমনই আতঙ্কিত ছিল বাড়ির পোষ্যেরাও। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের(Kolkata Police) ভূমিকা নিয়ে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে কলকাতার হরিদেবপুর, বাঁশদ্রোণী, গড়িয়া, পর্ণশ্রীর পাশাপাশি বেলগাছিয়া, কাশীপুর, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান এলাকায় বিস্তর শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ করেছেন। একাধিক বহুতল আবাসনের ভিতরেও শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে লালবাজারে। তাঁদের আরও অভিযোগ, বাজি ফাটানোর সময় পুলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের এই ভূমিকা নিয়েই শহরের সচেতন নাগরিকদের পাশাপাশি পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন। দিনকয়েক আগেই ইএম বাইপাসে নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ এক জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ভাঙড় থেকে বাজি ভর্তি ট্রাক নিয়ে শহরে ঢোকার পথে পুলিশের বিশেষ তল্লাশি অভিযানে আটক করা হয়েছিল সেই শব্দবাজি। পরিবেশ আন্দোলনে যুক্ত অনেকের যদিও দাবি, নিষিদ্ধ শব্দবাজির আটক হওয়া থেকেই বোঝা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শহরে বাজি ঢোকানোর চেষ্টা করছেন।
সপ্তাহ কয়েক পরেই কালীপুজো এবং ছটপুজো। এই দুই উৎসব ঘিরে প্রতি বছর সব থেকে বেশি শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ ওঠে। লক্ষ্মীপুজোতেই শব্দবাজি ফাটানো আটকানো না গেলে এই দুই উৎসবে কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের অন্দরেও। পাশাপাশি, শব্দবাজির সর্বোচ্চ শব্দসীমা সম্প্রতি ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও লালবাজারের দাবি, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিষিদ্ধ শব্দবাজির তাণ্ডব বন্ধ করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি, আটকও করা হয়েছে কয়েকশো কেজি শব্দবাজি। কালিপুজোর দিন ৪ আগে থেকেই কড়া নজরদারি চলবে। অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।