নিজস্ব প্রতিনিধি: অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে মনোনয়ন দাখিল করেই সন্দেশখালি(Sandeshkhali) নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা(Diamond Harbor Constituency) কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সাল থেকে টানা সাংসদ হিসাবে কাজ করে চলেছেন অভিষেক। এবারেও তিনি সেখান থেকেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে তৃতীয়বারের জন্য অবতীর্ণ হচ্ছেন লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) ভোটযুদ্ধে। এদিন আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন দাখিল করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের এই তরুণ সেনাপতি। আর সেখানেই তিনি সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তোপ দাগলেন গেরুয়া শিবিরকে। সাফ জানালেন, ‘সবটাই সাজানো নাটক, জল অনেকদূর গড়াবে।’ অভিষেকের এই তোপ থেকে এদিন রেহাই পায়নি CBI, ED এমনকি জাতীয় মহিলা কমিশনও।
এদিন অভিষেক জানান, ‘সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI বা ED-র তদন্ত যে সঠিক পথে পরিচালিত হয়নি তা তো স্পষ্ট। এটা আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, সবটাই সাজানো নাটক। এই যে রোবট নামিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক, সেটাও তো পরিকল্পিত। যে ভিডিওটা জনমসমক্ষে এসেছে সেটা ৪ দিন হয়ে গেল, বিজেপি তো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। যে ভাবে বাংলাকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে দেশের কাছে ছোট করা হল তা লজ্জানজনক। বিজেপির দু’জন মণ্ডল সভাপতিও ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন, ভোটের জন্য সবটা সাজানো হয়েছিল। অভিযোগকারিনীরা নিজেরাই বলছেন, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। কই, CBI-ED তো এ ব্যাপারে সক্রিয় হয়নি। এই জল অনেকদূর গড়াবে। ভাইরাল ভিডিও নিয়ে দলগতভাবে আমি শীর্ষ আদালতে যাব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করেছি, তিনি যেন ভাইরাল ভিডিওর পুঙ্খানুপুঙ্খ পিডিএফ কপি রাজ্যকে সুপ্রিমকোর্টে জমা দিতে বলেন। বাংলার মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলতে আমরা দেব না।’
এর পাশাপাশি অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘সন্দেশখালির তদন্ত রাজনৈতিক স্বার্থে একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে বেছে বেছে তদন্ত হয়েছে। জটায়ু তদন্ত করলে একটা লোককে চিহ্নিত করে তাকে দোষী বানিয়ে তারপর ঘটনার তদন্ত করত। আর ফেলুদা, পুরো ঘটনা কী হয়েছে জেনে, ঘটনার গভীরে ঢুকে তারপর দোষীকে চিহ্নিত করত। CBI-ED-র তদন্ত হল জটায়ুর তদন্ত। আমি বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য বলেছিলাম। এখানে শ্বেতপত্র প্রকাশ তো হয়নি, উলটে সন্দেশখালি সাদা কাগজের ওপর মিথ্যা অভিযোগ লিখে জোর করে সেই অভিযযোগ দায়ের করতে মহিলাদের বাধ্য করেছে বিজেপি। বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এতদিন যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করেছি, আবার যেন মানুষ সেভাবেই কাজ করার সুযোগ দেন। মনোনয়ন দিয়ে মানুষের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা করলাম। শুধু ডায়মন্ডহারবার নয়, রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য কাজ করব।’