নিজস্ব প্রতিনিধি: গোদের ওপর বিষফোঁড়া। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন দলের একের পর এক বিধায়ক। সেই সঙ্গে এদের সঙ্গে বাড়ছে দলের দূরত্বও। এই অবস্থায় দলকে স্বস্তির কোনও বার্তা না দিয়ে উল্টে দলকে আরও বড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে করিয়ে দিলেন প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। পুরভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে এবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এদিন তোপ দাগলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম। টুইটারে উগরে দিয়েছেন নিজের ক্ষোভ। কলকাতা বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি। এখন অনুপমের টুইট বাণের জেরে বঙ্গ বিজেপিতে আরও বড় বিতর্ক বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কেননা কলকাতা সহ বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে পুরনির্বাচনের জন্য দলের টিকিট বিলি ঘিরে বিজেপিতেব ক্ষোভ ছিল ও আছেও। এই অবস্থায় অনুপমের টুইট বিজেপির মুখ আরও পুড়িয়ে দিল।
জানা গিয়েছে, আসানসোলে বিজেপির এক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে দল বদল করেছেন। আর এই ঘটনাতেই রাজ্য বিজেপির উপর বেজায় চটেছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কে যে প্রার্থী বাছাই করে!!!??? আর কিসের ভিত্তিতে যে প্রার্থী বাছাই করা হয়, ভগবান জানে!!!’ এই লাইনের তলায় অনুপম আবার দুটি ইংরেজি শব্দ দিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এই দুটি শব্দ হল ‘ডিসগাসটিং’ ও ‘এমব্রাসিং’। অর্থাৎ তিনি বিরক্ত ও লজ্জিতও। অস্বীকার করার উপায় নেই যে অনুপমের এই টুইট বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে বেশ বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। সেই সঙ্গে বাড়াল বিড়াম্বনাও। প্রসঙ্গত, গত সোমবার মনোনয়ন জমার শেষদিনে সব প্রার্থী যখন ব্যস্ত, ঠিক তখনই মনোনয়ন কেন্দ্রে না গিয়ে আসানসোলের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায় গোপনে পৌঁছে যান মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। সেখানেই পিন্টুর হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অনুপম হাজরা।