নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আবকে বার ২০০ পার’ শ্লোগান তুলে রামভক্তরা(BJP) বাংলা(Bengal) দখলে দৌড়ে এসেছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ সজোরে তাঁদের প্রত্যাখান করে দিয়েছে। ২০০’র অর্ধেক ১০০ আসনও তাঁদের দেয়নি বঙ্গবাসী। যাও বা ৭৭ আসন এসেছিল, পরে আস্তে আস্তে সেখানেও কমতির ঘটনা ঘটে চলেছে। দল ছাড়ছেন সাংসদ থেকে সাধারন নেতাকর্মীরাও। ঠিক এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলার দিকে হঠাৎ করেই রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক কার্যালয়ের(Nabanna) ১৩ তলায় হাজির স্বয়ং বজরঙ্গবলী(Bajrangbali)। নবান্নের ১৩ তলার বারান্দা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছেন তিনি। নবান্নের বারান্দা দিয়ে লাফাতে লাফাতে এগিয়ে চলেছেন তিনি। আর হাতে ওয়াকিটকি নিয়ে তার পিছু ধাওয়া করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও মহাবীর সে সবকে ডোন্ট কেয়ার করেই এগিয়ে চলেছেন নবান্ন বিজয়ের পথে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়া থেকে নানা টিভির চ্যানেলে।
জানা গিয়েছে, নবান্নে এদিন হঠাৎ ঢুকে পড়ে একটি হনুমান। রীতিমত ভিতরে ঢুকে তিনি এতলা ওতলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাঝে বেশ কিছুক্ষন তিনি বসেছিলেন ১৩ তলার রেলিং ঘেরা বারান্দায়। সেখান থেকে তাড়া দিলেও তিনি নড়তে চাননি। বরং রেলিং ধরে বসে আরও ওপরের দিকে ওঠা যায় কিনা সেদিকেই তার বেশি নজর ছিল। ঘটনাচক্রে ওই ১৩ তলার ঠিক ওপরে ১৪ তলায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। যদিও এদিন তিনি নবান্নে অনুপস্থিত। পায়ের চোটের জন্য এখন তিনি নবান্নে আসতে পারছেন না। তবে হনুমানটি তাঁর দফতর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। নবান্নের ভবনটির লিফট ওঠানামার জায়গাটি ঘিরে মাঝখানে যে ঘোরানো বারান্দা রয়েছে তারই রেলিংয়ে বসে রয়েছে সে। তাকে দেখতে এদিন রীতিমত ভিড় জমেছে নবান্নের বারান্দায়। সরকারি কর্মচারীদের দেখা যায় এগিয়ে এসে ফোনের ক্যামেরায় তার সঙ্গে সেলফি তুলতে। তবে তাদের দেখে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের দেখেও নির্বিকারই থেকেছেন বজরঙ্গবলী। বিভিন্ন তলায় ঘুরে বেড়িয়ে, বিস্কুট কলা খেয়ে, আদর যত্ন পেয়ে শেষে অবশ্য তিনি নিজে থেকেই চলে যান নবান্ন ছেড়ে।