নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে বড় নির্বাচন হিসাবে চিহ্নিত হয় ৪টি ভোট। লোকসভার নির্বাচন, বিধানসভার নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুরসভার নির্বাচন। সেই সব নির্বাচনে কলকাতার(Kolkata) বড়বাজারে(Barabazaar) নানান দলের পতাকা, ফ্লেক্স, ব্যানারের চাহিদা যেমন তুঙ্গে ওঠে তেমনি প্রিয় দলের নেতানেত্রীদের ছবি সম্বলিত গেঞ্জির চাহিদাও থাকে। ২৪’র লোকসভা নির্বাচনেও সেই ছবি বদলাচ্ছে না এতটুকুও। আর এই সব রাজনৈতিক দলের পতাকা, গেঞ্জির বিক্রেতারা সাফ জানিয়ে দিলেন, বাজারে কোন দলের কাটটি কীরকম তা বেশ বোঝা যায় অর্ডারের চাহিদা দেখে। এবারের ছবি বলছে, তৃণমূলের(TMC) থেকে যোজন পিছিয়ে বিজেপি(BJP)। ভোট বাজারে পারদ যত চড়ছে, ততই কলকাতার বড়বাজারে দেদার বিকোচ্ছে নেতানেত্রীদের মুখের ছবি-সহ গেঞ্জি, টি- শার্ট।
নির্বাচনের আবহে, প্রিয় নেতানেত্রীকে বুকে আগলে রেখে ঘুরতে চান মানুষজন। আর তাই মোদি-মমতার ছবি দেওয়া টি-শার্ট থেকে পতাকা, দেদার বিকোচ্ছে বড়বাজারে। হাত থেকে কাস্তে-হাতুড়ির পতাকারও চাহিদা চোখে পড়ছে। চাহিদার নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে, তাঁর মুখ ছাপা গেঞ্জি কিনতে খরচ ১০০ টাকা। কোথাও কোথাও দাম ১৬০ টাকা। এর অর্ধেক দামে বিকোচ্ছে মোদির মুখের ছাপ দেওয়া টি শার্ট। সেগুলির দাম ৬০ টাকা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছাপা-সহ গেঞ্জি টেক্কা দিয়েছে মোদিকেও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ছাপ গেঞ্জির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কার্যত ভোটের বাজারে মমতা-মোদি-অভিষেকের টি শার্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বামেরা তারা-হাতুড়ি-কাস্তে মার্কা গেঞ্জি কিনছেন। কর্মী-সমর্থক, সাধারণ মানুষও কিনছেন।
বিক্রেতাদের কথায়, মার্কেটে সবথেকে এগিয়ে ‘বাংলার মেয়ে’ মমতা। গেঞ্জি ছাড়াও শাড়ি, পতাকা, ছাতা, সবেতেই এগিয়ে তৃণমূল। জোড়াফুলের পরই আছে বামেরা। লাল পতাকা, গেঞ্জি, ছাতা, টুপি দেদার বিকোচ্ছে বড়বাজার ও অন্যান্য পাইকারি বাজারে। সবুজ, লাল, তেরঙ্গা, গেরুয়া পতাকা বিকচ্ছে দেদার। জোড়াফুল-হাত-হাতুড়ি-পদ্মফুল ছাপ শাড়ি বা টুপি, বড়বাজারের দোকানে দোকানে ঝুলছে। মোদি-মমতার মুখোশও বিক্রি হচ্ছে। মোদি, মমতা, অভিষেকের ১০০ পিস মুখোশের দাম ৪০০ টাকা। বিভিন্ন দলের ব্যাচের দাম ৪ থেকে ১০ টাকা। রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক দেওয়া শাড়ির দাম ১৫০ থেকে ২০০। মাপ অনুযায়ী পতাকার দাম ৫ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। নেতা-নেত্রীর ছবি আঁকা ৮০ পিস সানগার্ডের দাম ৬০ টাকা, টুপি ১০ টাকা, বাইক ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড এক পিস ১০ টাকা। বিক্রেতাদের কথায়, সব থেকে কম অর্ডার এসেছে বিজেপি থেকে।