নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি লোকসভা কেন্দ্রকে বৃহত্তর কলকাতার(Greater Kolkata) মধ্যে ধরা হয়। এই ১০টি কেন্দ্র হল – ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতা, দমদম, বারাসত, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর ও হুগলি। যদিও এই কেন্দ্রগুলি যে সবই শহুরে এলাকা এমন নয়। ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, বারাসত, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর ও হুগলির সঙ্গে পঞ্চায়েতের এলাকাও ঢুকে রয়েছে। কিন্তু তাতে তাদের চারিত্রিকগত ভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরঞ্চ বৃহত্তর কলকাতা হিসাবে ওই ১০টি লোকসভা কেন্দ্র চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় স্তরেও। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সেই ১০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২টি গিয়েছিল পদ্মশিবিরের দখলে। কিন্তু এবারে অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) ওই ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে কোনও আসনেই জয়ের সম্ভাবনা দেখছে না পদ্মশিবির। বরঞ্চ তাঁদের আশঙ্কা, ওই ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত গোটা ৫ কেন্দ্রে হয়তো বামেরা(Left) দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দেবে।
কিন্তু একদম আশা ছেড়ে দিচ্ছে কেন পদ্মপার্টি? বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) সূত্রে খবর, এমনিতেই বৃহত্তর এলাকা তৃণমূলের(TMC) ঘাঁটি। অর্জুন সিং আর লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো দলবদলুদের দৌলতে উনিশের ভোটে তবু ব্যারাকপুর ও হুগলিতে পদ্ম ফুটেছিল। কিন্তু এবারে সেই সম্ভাবনাও আর নেই। কেননা দুইজনকেই নিয়ে দলের অন্দরেই নীচুতলার নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ আছে। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ চড়ছে হাওড়া, বারাসত, উত্তর কলকাতার বুকেও। সব থেকে বড় কথা তৃণমূলের রাজত্বপাটে তৃণমূলের ভোট মেশিনারির সঙ্গে পাঙ্গা দেওয়ার মতো কিছুই এখন আর নেই বিজেপির হাতে। কেন্দ্রের হাতে যতই ED, CBI, NIA, Income Tax থাকুক না কেন, তা দিয়ে ভোটে জেতা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি ভোটারদের ভয় দেখানোও সম্ভব নয়। এই এলাকা কয়েক দশক ধরে তৃণমূলের দুর্গ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে। সেখানে সাধারণ বাসিন্দারা চট করে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন জানাবে না। তাই এই ১০টি আসনে এবার পদ্মের কোনও নেতাই জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না। দলের নেতাকর্মী থেকে প্রার্থীদের মধ্যেও তাই প্রচারেও আলস্য বেশ চোখে পড়ছে।