এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হার ঠেকিয়ে মুখ বাঁচাতে ফেব্রুয়ারিতে ভোট চাইছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: লজ্জা, শরম, ভয়, তিন থাকতে নয়। বাংলার এই প্রবাদ বাক্য এখন পুরোপুরি খেটে যাচ্ছে বিজেপির ক্ষেত্রে। কেননা তাঁরা এখন নিজেদের হার ঠেকাতে আর সেই হার থেকে নিজেদের মুখ বাঁচাতে মামলা ঠুকতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য সরকার আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমে নির্বাচন করাতে চাইছে। সেই মর্মেই নবান্ন থেকে প্রস্তাব গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। মঙ্গলবার সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কমিশন। তার জেরেই আগামী ১৯ তারিখ ওই দুই পুরনিগমে নির্বাচন কার্যত এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। কিন্তু এখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে সেই নির্বাচন রদ করাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের দাবি, ডিসেম্বরে নয়, ভোট করাতে হবে ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।

বিজেপি এখনও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেনি, তবে সেই মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সেই মামলাতে বিজেপির বক্তব্য থাকছে এটাই যে, কেন শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট করানো হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর? কেন রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট নেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্নের পাশাপাশি বিজেপির তরফে আদালতে আর্জি জানানো হবে যাতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একদিনে রাজ্যের সব পুরসভায় নির্বাচন যাতে করানো যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। যদিও হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের দাবি, বিজেপি মামলা দায়ের করার পরে শুনানি শুরুর আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেয় ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেয় তাহলে সেই নির্বাচন স্থগিত করা বা বাতিল করা সম্ভব নয়। তাই বিজেপিও তড়িঘড়ি করে মামলা দায়ের না করে আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপি কেন পুরনির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে? তাঁরাই তো বিগত দুই বছর ধরে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট ছোটাছুটি করেছে নির্বাচনের পক্ষে রায় বার করতে। তাহলে এখন কেন তাঁরা ভোট পিছোতে চাইছে যখন রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমে ভোট করার ব্যাপারে একমত হয়েছে? কেনই বা তাঁরা ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যের সব পুরসভায় ভোট না চেয়ে ৩ মাস ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে? এই বাড়তি সময় তাঁরা চাইছে কেন?

ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, বঙ্গ বিজেপি আদতে নিজেদের দুরাবস্থা লুকিয়ে রাখতে আর প্রার্থী জোগাড়ের জন্য এই বাড়তি সময় নিচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০’র বেশি আসন জিতে বাংলা দখলের ডাক দিয়েছিল। বাংলা দখল তো দূরের কথা ১০০ আসনও পায়নি গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭ আসন পেয়েই এবারের মতো যাত্রাভঙ্গ করতে হয়েছে তাঁদের। সেই নির্বাচন ফুরাতেই শুরু হয়েছে বিজেপি ছাড়ার পালা। সাংসদ থেকে বিধায়করা তো বটেই, নিত্যদিন রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি ছাড়ছেন নেতা ও কর্মীরা। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পরে বাংলায় যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে সেখানে সবকটি আসনেই শাসক দলের কাছে বিজেপির বিপুল ব্যবধানে পরাজয় ঘটেছে তাই নয়, ৩টি আসনে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্তও হয়েছে। এক ধাক্কায় রাজ্যে বিজেপির ভোট ৩৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। এই অবস্থায় ডিসেম্বরে যদি কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হয় তাহলে এই দুই পুরসভার অর্ধেক আসনে হয়তো প্রার্থীই খুঁজে পাবে না গেরুয়া শিবির।  

বঙ্গ বিজেপির নেতারা কার্যত তা স্বীকারও করে নিচ্ছেন ঘরোয়া ভাবে। তাঁরা মেনে নিচ্ছেন দলের সংগঠন বলে বাংলায় এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এর ওপর তুঙ্গে উঠেছে গোষ্ঠীকোন্দল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাংবাদিক বৈঠকেও পর্যন্ত দলের বিক্ষুব্ধ অংশ বা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় কীভাবে পুরনির্বাচন লড়বে বিজেপি। তাই বিজেপি চাইছে ৩ মাস অন্তত যেন পিছিয়ে দেওয়া হয় সেই ভোট। তাতে যদি ঘর গুছিয়ে প্রার্থী খোঁজা যায়। কেননা তাঁদের ভোট পিছানোর আর্জি রাজ্য নির্বাচন কমিশন শুনবে না, রাজ্য সরকারও শুনবে না। তাই আদালতে মামলা ঠুকে ভোট পিছোনোর ফন্দি। সেই সঙ্গে নিজেদের মুখরক্ষার চেষ্টা।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

নির্মাণ বর্জ্য হস্তান্তরের বিল না দেখালে কলকাতায় বন্ধ হবে বাড়ি তৈরির কাজ

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর