এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ট্যাব নিয়ে বিপাকে পড়ুয়ারা, রাজ্য চাইছে সার্টিফিকেট

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবর্তনের পরে তৃণমূল জমানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জোর দিয়েছেন অনলাইনে কাজের ওপর। তার জেরে রাজ্য সরকারের এখন অধিকাংশ কাজই হয় অনলাইনে। কোভিডকালের সময় থেকেই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ট্যাব(Tab) প্রদানের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু সেই সময় এক লপ্তে বাজারে লক্ষ লক্ষ ট্যাব পায়নি রাজ্য সরকার। তাই ট্যাবের বদলে পড়ুয়াদের(Students) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা পাঠিয়েছিল রাজ্য। এখন সেই টাকার ইউসি বা ‌‌ইউটিলাইজেশান সার্টিফিকেট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেখানেই বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। কেননা অধিকাংশ পড়ুয়াই ট্যাব না কিনে হয় সস্তা দামের মোবাইল কিনেছে নাহলে সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করেছে। অনেকের টাকা আবার সংসারের চাহিদা মেটাতে খরচ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন ট্যাবের ইউসি কোথা থেকে তাঁরা দাখিল করবে তা নিয়েই বিপাকে পড়ে গিয়েছে তাঁরা।

আরও পড়ুন এখনই নদিয়া জেলা ভাগ হচ্ছে না, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কোভিড(Covid) ও লকডাউনের(Lockdown) জেরে রাজ্যের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল দুই বছরেরও বেশি সময়। ওই সময়কালে পড়াশোনা চালানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল অনলাইনে পড়াশোনা। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে সেই শিক্ষার গতি স্তব্ধ হয়ে না পড়ে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালেই রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে সেই ট্যাব দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে মোট ৮ লাখ ৭৬ হাজার পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২১ সালেও ট্যাব দেওয়া হয় দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার। কিন্তু গত বছর ওই সংখ্যক ট্যাব বাজারে পাওয়া যায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই টাকা দিয়ে ট্যাব কিনে পড়ুয়ারা তার বিল জমা দেবে নিজ নিজ স্কুলে। তারপর সেখান থেকে ইউসি(Utilization Certificate) আসবে রাজ্য সরকারের হাতে।

আরও পড়ুন আসছে নয়া ব্র্যান্ড ‘বাংলার শাড়ি’, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এবারেও রাজ্য সরকার দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং মাদ্রাসার পড়ুয়াদেরও ট্যাব দেওয়া হবে। তার জন্য কারিগরি শিক্ষাদপ্তর থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষার স্কুলগুলিকে এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে চিঠি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট প্রোফর্মায় ছাত্র-ছাত্রীদের নাম, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য প্রভৃতি জমা দিতে বলা হয়েছে। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও মাদ্রাসা বোর্ড এই পথে হেঁটেছে। একই সঙ্গে এই ৩টি বোর্ড থেকেই গতবছর যারা ট্যাব কেনার টাকা পেয়েছিল সেই টাকার ইউসি সার্টিফিকেট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা হচ্ছে গতবছর যারা দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়া ছিল তাঁদের অনেকেই এইবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছে। ফল বার হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের সিংহভাগের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও যোগাযোগই নেই। এই অবস্থায় ইউসি কোথা থেকে জোগাড় হবে তা নিয়ে যেমন প্রশ উঠেছে তেমনি যারা ট্যাব কেনার টাকা অন্য খাতে খরচ করেছে তাঁরা কোথা থেকে ইউসি জমা দেবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা, তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

মিউটেশন আছে মানেই সেই ফ্ল্যাট বৈধ এমন নয়, প্রচারে হাওড়া পুরনিগম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর