নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিধানসভায়(State Legislative Assembly) সোমবার বিজেপি(BJP) বিধায়কদের যে ভূমিকায় দেখা গেল তাঁকে এদিন তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee) ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। যেভাবে অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এদিন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে অধিবেশন কক্ষের মেঝেতে ফেলে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে তা কার্যত দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রে নজীরবিহীন। এই ঘটনার জেরেই এদিন সরব হয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। সরব হয়েছেন ফিরহাদও।
এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিধানসভায় তাঁর নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘যে ঘটনা ঘটল এটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভায় গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। অনেক সদস্য জখম হয়েছে। অধিবেশনের শেষ দিনে এটা প্রত্যাশা করিনি। বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে। কিভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটা আমরা দেখব। আমাদের এখানে যে সব সমস্ত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে, সেগুলির হিসেব রাখা হবে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’
অন্যদিকে এদিনের ঘটনা নিয়ে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ, আবাসন ও পুর দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও সরব হয়েছেন। নাম না করেই বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বিধানসভায় গুন্ডাগার্দি করেছে। এ রকম গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা আগে কোনও দিন দেখিনি। এই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এ রকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা দেখিনি কখনও।’ উল্লেখ্য এদিন বিধানসভায় হাঙ্গামার পরেই শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ, নরহরি মাহাতো এবং মনোজ টিগ্গাকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনে শাসক দল। তাঁদের সাসপেনশনের দাবি করেন, ফিরহাদ হাকিম, উদয়ন গুহ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। সেই প্রস্তাবের পক্ষে বলতে গিয়ে তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ওরা মার্শালকে মেরেছে। বিধানসভার কর্মীদের মেরেছে। আমাদের একাধিক বিধায়ক হামলায় আহত হয়েছেন। মাননীয় স্পিকারের কাছে আমাদের দাবি, হামলাকারী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এরপরেই বিজেপির ৫ বিধায়ককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ।