নিজস্ব প্রতিনিধি: আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ঘেরাটোপে টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু রবিবার পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে দেখা যায় বেশকিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছে না বায়োমেট্রিক সিস্টেম। সেই আবহে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের জরুরি নির্দেশ দেনপর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
রবিবার প্রাথমিক টেট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি রাখা হয়েছিল বায়োমেট্রিক ব্যবস্থাও। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষে কেন্দ্রে ঢোকানোর সময় দেখা যায় বেশকিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে কাজ করছে না বায়োমেট্রিক। পরীক্ষা শুরু হতে আর যখন কিছুক্ষণ বাকি সেই সময় এমন খবরে উদ্বেগের মধ্যে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। তড়িঘড়ি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় পর্ষদ সভাপতির কাছে। বিষয়টি পর্ষদ সভাপতির গোচরে আসার পর তড়িঘড়ি জরুরি নির্দেশ দেন গৌতম পাল। যেখানে যেখানে বায়োমেট্রিক সিস্টেম কাজ করছে না সেখানে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিজেদের মত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পর্ষদের তরফে বলা হয়, ‘ফ্রিস্কিং এবং বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স যেখানে কাজ করছে না আপনারা আপনাদের মতো করে পদক্ষেপ নিন।’ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করে এই নির্দেশিকা দেয় পর্ষদ।
নিরাপত্তা নিয়ে কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর সেই কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, একটি প্রশিক্ষিত এজেন্সিকে দিয়ে এই মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এত প্রস্তুতির পরেও কেন পরীক্ষার দিনে খামতি থেকে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।