নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের ভোটে লড়তে একাধিক কমিটি তৈরি করল বঙ্গ বিজেপি। আর কমিটিতে রাখা হল সম্প্রতি শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া নেতা-নেত্রীদের। পাশাপাশি অর্জুন সিং ও দীনেশ ত্রিবেদীকেও বড় দায়িত্ব দেওয়া হল
পুরভোট পরিচালনা করার জন্য। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতায় পুরভোটের দায়িত্বে থাকছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকেও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর নেতৃত্বে থাকবেন আরও চারজন বিজেপি নেতা। রুদ্রনীল ঘোষ, বৈশালী ডালমিয়া, তুষারকান্তি ঘোষের মতো বিধানসভায় হেরে যাওয়া প্রার্থীদেরই দায়িত্বে আনল বঙ্গ বিজেপি।
কলকাতা পুরসভায় এলাকাভিত্তিক প্রচারের জন্য মোট ১৪ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রচার কমিটিতে রাখা হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়, স্বপন দাসগুপ্ত ও শিশির বাজোরিয়াদের। পাশাপাশি ১৩টি বরোয় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে আনা হচ্ছে ১৩ জন বিধায়ককে। একইসঙ্গে হাওড়ায় দায়িত্বে রয়েছেন রথীন চক্রবর্তী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষের পরিবেশ রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী ও রথীন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বহিস্কৃত হয়েছিলেন হাওড়া সদরের বিজেপি নেতা। এরপরও যে এই বিষয়ে আদি নেতাদের আপত্তি পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব সেটা ফের প্রমান হল। তৃণমূল থেকে যাঁরা বিজেপি-তে এসেছেন তাঁদেরই ফের পুরভোটের কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে। কলকাতার কমিটির মাথায় থাকবেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। আর হাওড়ায় প্রধান দায়িত্বে তৃণমূলের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।
হাওড়া পুরনিগমের দায়িত্বে রথীনের দু’জন সহকারী মনোজ পাণ্ডে এবং সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেই বিজেপি-তে নতুন, প্রথমজন কংগ্রেস ছেড়ে এবং দ্বিতীয়জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। পাশাপাশি হাওড়ার কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে আসা বানী সিংহরায়, জটু লাহিড়ির মতো নেতারাও। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর কার্যত দিশেহারা বঙ্গ বিজেপি। একের পর এক নেতা-বিধায়ক দল ছেড়ে যাচ্ছেন। ফলে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নেতাদের ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির। তাই তাঁদেরই দায়িত্ব দিয়ে দলে রাখার চেষ্টা করা হল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।