নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে মাত্র আর ১৪ মাস সময়। তাই নয়া লক্ষ্যমাত্রা দলের নেতা থেকে কর্মী মায় সমর্থকদের সামনে এনে দিলেন শাহ। মানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) দলের সামনে ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনের(2024 General Election) জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন, ‘আবকে বার ৪০০ পার’। শুধু তাই নয়, বাংলা(Bengal) থেকেও কটি আসন চাই তাও ঠিক করে দিয়েছেন তিনি। ২৫ Plus, মানে ২৫টির বেশি আসন। আর তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) অন্দর থেকে শুরু করে রাজ্য রাজনীতিতে। কেননা এই অমিত শাহই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে শ্লোগান তুলেছিলেন, ‘আবকে বার ২০০ পার’। কিন্তু বাংলার জনতা বিজেপির জয়যাত্রা ৭৭ আসনেই থামিয়ে দিয়েছিল। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও অর্জন করতে পারেনি পদ্মশিবির। আর এখানেই তাই পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী এবার ২০২৪’র ভোটেও বিজেপির জয়যাত্রা ২০০’র নীচেই থেমে যাবে?
আরও পড়ুন মে মাসেই সম্ভবত পঞ্চায়েত নির্বাচন, চলতি মাসেই ভোটকর্মীর তালিকা
বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলার দলীয় নেতৃত্বকে দ্রুত কেন্দ্রওয়াড়ি পর্যালোচনা পাঠাতে বলেছে। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজত্বের ‘হাওয়া’ বুঝতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আবারও এ রাজ্যে পাঠানোর পাশাপাশি এখানকার ‘হালহাকিকত’ বুঝে নিতে চাইছেন শাহ। একই সঙ্গে চলছে সাংগঠনিক ভাবে বুথ শক্তিশালী করার কর্মসূচি। কিন্তু শ্লোগান তুললেই তো আর হল না, তা বাস্তবায়িতও করতে হবে। কিন্তু সেখানেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যতই নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কোনঠাসা হোক না কেন, বাংলার বুকে ২৫টির বেশি লোকসভা আসন দখল করা বিজেপির পক্ষে কার্যত অসম্ভব। কেননা বাংলায় ২০২৪ সালে বিজেপি ৫টি লোকসভা আসনও জিততে পারবে কিনা সন্দেহ, সেখানে ২৫ Plus মূর্খের স্বররগে বাস করারই সামিল। এমনিতেই বাংলায় দলের সংগঠন বলতে আর কিছুই নেই। নিচু তলা থেকে উঁচুস্তরে দলের ভাঙন ঠেকাতেই কার্যত ল্যাজেগোবরে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। নিত্যদিন দল ছাড়ছেন নেতা থেকে কর্মীরা। মুখ ফেরাচ্ছেন সমর্থকেরা। জার্সি বদল করছেন সাংসদ থেকে বিধায়কেরা। সেখানে ২৫ Plus কোথা থেকে আসবে!
আরও পড়ুন ৬৪২টি স্কুলের ১৭৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে Show Cause
যদিও এই সব ব্যাখা শুনতে রাজী নন শাহ। তাঁর কড়া নির্দেশ বঙ্গ বিজেপিকে, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের কোনটিতে কী রকম অবস্থা, তার পুঙ্খনাপুঙ্খ রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এবং তাতে এক ফোঁটাও জল মেশানো যাবে না। অর্থাৎ, কোনও লোকসভা কেন্দ্রের কোনও একটি বুথে দলের কমিটি না-থাকলে সেটাও জানাতে হবে দিল্লিকে। যদিও বঙ্গ বিজেপির আদি নেতারা এটা মানছেন যে রিপোর্ট যাই যাক না কেন, আর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যতদিন যতখুশি বাংলায় আসা যাওয়া করুন না কেন, হাওয়া ঘোরার সম্ভাবনা খুবই কম। বাংলায় বিজেপি ৫টি আসন জেতার মতো অবস্থাতেও নেই। দেশেও ৪০০ দূরঅস্ত।