এই মুহূর্তে




পিছন থেকে আন্দোলনে মদত যুগিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছে বিজেপি

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাবনা ছিল এক, আর হয়ে গিয়েছে আরেক। লক্ষ্য ছিল, আর জি কর কাণ্ডকে(R G Kar Incident) রাজনীতির আঙিনায় টেনে এনে পিছন থেকে আন্দোলনে মদত দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারকে ফেলে দেওয়া। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার ফেলা তো সম্ভবই নয়, উল্টে নিজেদের বিরোধী পরিসরের মাটি দখল করে নিয়েছে বামেরা। আর এই সব দেখেই এখন হাত কামড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) শিবির। বাংলার মাটিতে বিজেপির উত্থান হয়েছে বাম ভোটে থাবা বসিয়ে। রাজ্যে বামেরা যত দুর্বল হয়েছে, বিজেপি ততই বাংলায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। কিন্তু আর জি কর কাণ্ডে সেই বামেরাই এখন বিজেপির পায়ের তলার মাটি কেড়ে নিতে চলেছে। ক্রমশই রাজ্য রাজনীতির বিরোধী পরিসসের দখল নিচ্ছে বামেরা। জমি হারাচ্ছে বিজেপি। অথচ হাতে ২ বছরও সময় নেই, হারা জমি পুনঃরুদ্ধারের। জমি পুনঃরুদ্ধার না হলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে(West Bengal Assembly Election 2026) বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা ধরে রাখার জন্য।

আরও পড়ুন, মেঘনাদের মার খাওয়া, ২৪ পদ্মনেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার, বিজেপিতে প্রশ্নের মুখে শুভেন্দুর দাপট

আর জি কর কাণ্ডে লালবাজারের তরফে অনেক আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে আন্দোলনের নামে যেভাবে ঘেরাও, মিটিং, মিছিল হচ্ছে, শ্লোগান উঠছে, কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে, তাতে পরিষ্কার সেখানে মাও-নকশাল যোগ রয়েছে। কার্যত তাঁরাই আন্দোলন সংগঠিত করছে পর্দার পিছন থেকে। আর সামনের সারিতে তা দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিপিআই(এম)(CPIM), ডিওয়াইএফআই, সিটু’র মতো বামপন্থী দল ও সংগঠনের নেতানেত্রীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সব জায়গায় যুব নেতানেত্রী ও দলের মাঝারি মাপের নেতৃত্বদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ হিসাবে। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনে বিজেপির পূর্ণ মদত ছিল। লক্ষ্য ছিল রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তার পতন ঘটানো এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মাধ্যমে ক্ষমতার দখল নেওয়া। কিন্তু সেই ছক বাস্তবে খুব একতা কাজে দেয়নি। আর জি কর আন্দোলন যে অতিবামদের হাতে চলেছে গিয়েছে, সেটা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরও একই মত। তাই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেও তা খারিজ করে দিয়েছে খোদ শাহি মন্ত্রক।

আরও পড়ুন, ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় স্থান পাননি, মামলা হাইকোর্টে

কিন্তু বাংলায় বিরোধী পরিসরের জমি যেভাবে বামেরা দখল করে নিয়েছে রা দেখে এখন ঘুম ছুটেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। একই সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকেরা টানা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যে চড়ছে ক্রমশই সেটাও পদ্ম নেতৃত্ব বুঝতে পারছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমজনতার ক্ষোভ যে বিজেপির ওপরেই এসে পড়বে সেটা বুঝতে পেরে এখন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খোদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কাছে বার্তা এসে গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বিরোধিতা চলতে পারে। কিন্তু ডাক্তারদের কর্মবিরতিকে সমর্থন করা যাবে না। এতে সাধারণ মানুষ খেপে উঠছে। দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও ডাক্তারদের কর্মবিরতি ও চিকিৎসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জোগানো যাবে না। বঙ্গ বিজেপির কাছে স্পষ্ট বার্তা এসেছে, রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে হবে। কিন্তু তার জন্য কোনওভাবেই দলের গায়ে যেন গরিব-বিরোধী স্ট্যাম্প না পড়ে যায়। সরাসরি কোনও নেতা-নেত্রী চিকিৎসা ধর্মঘটকে সমর্থন করলে, তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনদুপুরেই ডাকাতি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির, মাত্র ৬.৫ কিমি দূরের গন্তব্যের ভাড়া ৪৩৬ টাকা!

মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি IMA’র রাজ্য শাখার, ক্ষুব্ধ জনতা

অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন

ত্রিধারার মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ শ্লোগান দেওয়া ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর