নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক হার হোক বা সম্প্রতি উপনির্বাচনে জামানত জব্দ হওয়া। সব ব্যাপারেই দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। একেক সময় তাঁর আক্রমণের ঝাঁঝ এতোটাই তীব্র ছিল যে তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। কখনও তাঁর নিশানায় থাকেন দিলীপ ঘোষ, আবার কখনও কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এছাড়া তৃণমূল থেকে নেতাদেরও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়েও তাঁর তীব্র কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা। এবার সেই তথাগত রায়কেই পাল্টা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট কথা, কতদিন আর লজ্জা পাবেন, দল ছেড়ে দিন। দল যাঁদের সবচেয়ে বেশি দিয়েছে। তাঁরাই দলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।
প্রসঙ্গত, তথাগত রায় দিলীপ ঘোষের উত্তরসুরী। কারণ ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তথাগত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। প্রায় ৯ বছর বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে তাঁকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল করে পাঠানো হয় দলের প্রতি আনুগত্য ও নিষ্ঠার পুরষ্কার স্বরূপ। এদিন সম্ভবত সেই দিকটাই বলতে চাইলেন দিলীপ ঘোষ। মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদের মেয়াদ শেষের পর তিনি ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসেন। তবে এই মুহূর্তে দলের কোনও পদেই তাঁকে রাখা হয়নি। তবুও কথার ফুলঝুড়ি ছুটেছে তথাগতর মুখে। তাঁর আক্রমণের শিকার হয়েছেন দিলীপ ঘোষ থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সম্প্রতি অশালীনতার সীমা ছাড়িয়ে কৈলাশের সঙ্গে কুকুরের ছবিও পোস্ট করেছিলেন তথাগত রায়। ফলে তাঁকে নিয়ে বিব্রত বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন স্পষ্টতই ‘গলার কাঁটা’ সরিয়ে ফেলতে তথাগতকে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান সভাপতি শুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এই মুহূর্তে তথাগত রায় কোনও দায়িত্বে নেই।তাই ওনাকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে।