এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

RSS’র কথায় কান দিয়ে বঙ্গে বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক বার নয়, দুই দফায় এসেছিল সতর্কতা। প্রথমবার একুশের ভোটের পরে এবং দ্বিতীয়বার চলতি বছরের প্রথম দিকে। কিন্তু সেই দুই সতর্কবার্তাতেই কান দেয়নি পদ্ম শিবির। বঙ্গ বিজেপিই হোক বা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই হোক, সঙ্ঘের সেই সতর্কবার্তা তাঁরা কানে তোলেননি। আর সেই না তোলার খেসারত এখন গুণছেন তাঁরাই। একুশে ভোটে হারের পরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা RSS’র তরফে বিজেপিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) যেন ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করা না হয়। এমনকি এটাও বলে দেওয়া হয়েছিল বাংলায় আমজনতার জন্য মমতা যে সব প্রকল্প চালু করেছেন তা নিয়ে যেন ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ না করা হয়। আবার চলতি বছরের প্রথমদিকে সঙ্ঘ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যেকার সংযোগরক্ষাকারী অরুণ কুমার কলকাতায় এসে বলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের অতি সক্রিয়তা বাংলার শাসকের পক্ষেই নিয়ে যাবে জনমতকে। দুর্ভাগ্য, এই সব সতর্কবার্তা কানে তোলেননি পদ্ম শিবিরের নেতারা। আর তার জেরে ভড়াডুবি। আরও একবার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে তেইশের পঞ্চায়েত ভোটে।

বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) দেখা যাচ্ছে বিজেপি(BJP) ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় ৪ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের তুলনায় তাঁদের ভোট কমেছে ১৫ শতাংশ। বাংলার পদ্ম শিবিরের নেতারা দলের খারাপ ফলের জন্য যতই নাকি কান্না করুন আর যতই বা মামলা করুন, বাস্তব তথ্য কিন্তু বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলায় বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ৬৩, ২২৯টি আসনের মধ্যে ৯,৭৭৭টি আসন পেয়েছে। বাংলার বুকে এটাই এ যাবৎকাল পর্যন্ত বিজেপির প্রাপ্ত সব থেকে বেশি আসন সংখ্যা। এখানে আর পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরের হিসাবে ধরা হয়নি। যদিও সেই দুই স্তরেও আসন জিতেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ৯৭৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১,০১০টি আসন। জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৯টি আসন। যদি সত্যি করে সন্ত্রাস হতো তাহলে বিজেপি কী এই সাফল্যটুকুরও মুখ দেখতে পারতো? আর তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও আর বাংলার দলীয় নেতাদের মুখ থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ শুনতে চান না। তবে এবারে তাঁদের ভাবতে হবে সঙ্ঘের সতর্কবার্তা নিয়ে।

এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বহু আগে থেকেই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক নেতাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে নানা দুর্নীতির মামলায়। অথচ সেই একই দুর্নীতির ঘটনায় কোনও বিজেপি নেতাকে তাঁরা আজ পর্যন্ত না গ্রেফতার করেছে না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। যাবতীয় পদক্ষেপ শুধু তৃণমূলের নেতাদের নিয়েই। আবার একই সঙ্গে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস একযোগে দুর্নীতির ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে যা না তাই খুশি বলে বেড়িয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলি নিয়েও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করতেও তাঁরা পিছুপা হননি। কিন্তু এখন গ্রাম বাংলার রায় সামনে আসার পরে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে আমজনতা এই সব দুর্নীতিকাণ্ডে বিরোধীদের অভিযোগগুলিকে পাত্তাও দেয়নি, গুরুত্বও দেয়নি, গ্রহণও করেনি, কানেও তোলেনি। তাই শাসকের শিবিরে জোয়ার আর বিরোধীদের শুরুই হার।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্য জুড়ে পালিত রবীন্দ্র জয়ন্তী, বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মমতার

স্বস্তির বৃষ্টি, একধাক্কায় অনেকটাই কমল বঙ্গের তাপমাত্রা

উল্টোডাঙ্গা ফ্লাইওভারে চলন্ত গাড়িতে ভয়ংকর আগুন, ব্যাপক যানজট ভিআইপি রোডে

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর