নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা শহরে। সল্টলেকে মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ তাঁদের দেহ সৎকারের জন্য বের করে রেখে গিয়েছেন নগদ ২০ হাজার টাকা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিষ পান করে আত্মঘাতী হয়েছেন মা ও মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিনতলার একটি ঘর থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত মেয়ের নাম স্নেহা ঘোষ এবং তাঁর মায়ের নাম সুপর্ণা ঘোষ। এদিন বিছানার ওপর স্নেহা ঘোষের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা। একই ঘরে মা সুপর্ণা ঘোষের দেহ পড়ে ছিল মেঝেতে। স্থানীয়রা জানান, ২৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় মৃত সুপর্ণা ঘোষের স্বামী আশিস ঘোষের। তাঁদের মেয়ে স্নেহা ঘোষের বিয়ে হলেও পরে ডিভোর্স হয়। এর পর তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকছিলেন। সম্প্রতি মা এবং মেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। প্রতিবেশীদের কথা অনুযায়ী মেয়ে স্নেহা ঘোষ একটি বিদেশি কোম্পানিতে ভালো চাকরি করতেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অবসাদের কারণেই সুপর্ণা এবং স্নেহা আত্মহত্যা করেছেন। ঘর থেকে একটি বিষের শিশি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সুপর্ণার স্বামী আশিষ ব্যবসা করতেন। কোভিড পরিস্থিতিতে লকডাউনের পর থেকে তাঁর ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ে। এর পর আর্থিক সঙ্কটে জেরবার হয়ে পরেন আশিষ ঘোষ। তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। ২৬ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়। আশিষ ঘোষের মৃত্যু সুপর্ণা ও স্নেহা কোনওভাবে মেনে নিতে পারেননি বলে জানান স্থানীয়রা।