নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রখর রোদ। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে গণপরিবহণ ছেড়ে অনেকেই অ্যাপ-ক্যাব বা হলুদ ট্যাক্সির দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু সেখানেও গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যাপ-ক্যাব বা হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া। ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
জানা যাচ্ছে, সকালের দিকে যখন প্রথর রোদ থাকে তখন এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এমন অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ নেওয়া হয়েছে। দিনের বেলায় এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা বেশি থাকলেও রাতে অবশ্য এই প্রবণতা কমই থাকে। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা জানান, সপ্তাহে দুদিন পার্ক স্ট্রিটে এক জায়গায় আমাকে নাচ শিখতে যেতে হয়। ভারী ব্যাগ থাকার কারণে আমাকে ক্যাবেই যেতে হয়। আগে নাচের স্কুলে যেতে যেখানে ৩২০ টাকা লাগত, এখন সেখানে ৪৫০ টাকা দিতে হচ্ছে।
কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যারা যাতায়াত করছেন, তাঁদের সকলেরই এই একই অভিজ্ঞতা। সেই সঙ্গে যাত্রীদের সম্প্রতি নতুন এক সমস্যারও সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ সময়ই অ্যাপ চালকরা গাড়িতে এসি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের বক্তব্য, এসি চালালে তাঁদের বেশি ভাড়া দিতে হবে। অনেক সময় চালকের সঙ্গে যাত্রীর এই নিয়ে বাদানুবাদও সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকসময় এমনও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে যাত্রীদের যে এসির জন্য দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও দেখা যাচ্ছে গাড়িতে এসি চলছে না।
শুধু অ্যাপ ক্যাবের ক্ষেত্রেই নয়, হলুদ ট্যাক্সির ক্ষেত্রেও এই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে চালকরা আর মিটারের ওপর নির্ভর করে গাড়ি চালাচ্ছেন না। চালকরা যা বলবেন, সেটাই দিতে হবে যাত্রীদের। তখন চালকের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে না গিয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সি চালকরা যে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন, সেকথা জানতে পেরেছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতারাও। কিন্তু বিষয়টি যে তাঁদেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের কর্তারা।