এই মুহূর্তে




উপনির্বাচনের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর তৃণমূলের, নেপথ্যে অভিষেক

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের(6 Assembly Seats) উপনির্বাচন(Bye Election) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১৩ নভেম্বর। সেই উপনির্বাচন আর জি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় উপনির্বাচনের জন্য প্রচারে(Election Campaign) দলের সোশ্যাল মিডিয়ার টিমকে আরও বেশি করে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media) প্রচারের ক্ষেত্র বিজেপির আইটি সেলের একচেটিয়া দখলদারি ছিল। তবে গত কয়েকবছরে তৃণমূল সহ অন্যান্য দলের তরফেও সামাজিক মাধ্যমকে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করা হচ্ছে। এই অবস্থায় অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও তৃণমূলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বাম হোক কী বিজেপি, কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া যাবে না। লাল হোক কী গেরুয়া, কোনও শিবিরেরই কোনও ‘অপ্রচার’কে খাটো করে দেখা যাবে না। বরঞ্চ যত দ্রুত সম্ভব সেই অপপ্রচারের যোগ্য জবাব দিতে হবে। তেমনই নির্দেশ দলের সেনাপতির।

আরও পড়ুন, মঙ্গলের ধর্মঘট ঠেকাতে কুণালের আবেদন, তৃণমূলের আক্রমণ, দিশাহারা চিকিৎসক সমাজ

জোড়াফুল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়ে যাবে। তার আগে থেকেই উপনির্বাচনের জন্য দলের সোশ্যাল মিডিয়ার টিমকে প্রচার শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জনসংযোগ এবং চুটিয়ে প্রচার চালানোর জন্য কর্মীদের বলা হয়েছে। বাম হোক বা কংগ্রেস কিংবা বিজেপি কাউকেই এতটুকুও জায়গা না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যত দলের সোশ্যাল মিডিয়ার টিমকে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, বিরোধীরা তৃণমূল বা রাজ্য সরকার কিংবা বাংলাকে নিয়ে কুৎসা ও অপপ্রচার করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা দ্রুত জবাব দিতে হবে। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অপপ্রচার করা যাবে না। সেই সঙ্গে প্রচারে তুলে ধরতে হবে রাজ্য সরকারের যাবতীয় উন্নয়নের কাজ, তৃণমূল জমানায় হওয়া পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, কেন্দ্রের বাংলা বিরোধী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দল তথা রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি আর জি কর কাণ্ডকে ঘিরে চলা পরিস্থিতির জেরে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে সেই সব বিষয়বস্তু।

আরও পড়ুন, সিভিকের জায়গায় বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে

একসময় নির্বাচনী প্রচারে দেওয়াল লিখন ছাড়া ভোট প্রচার ভাবা যেত না। প্রতিপক্ষকে ছড়ার মাধ্যমে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে দেওয়াল লিখনের জুড়ি মেলা ভার ছিল। তবে বর্তমানে দেওয়াল লিখনের রেওয়াজ ধীরে ধীরে কমছে। সেই জায়গা নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। গ্রাম হোক কী শহর ফেসবুকের দাপট সর্বত্র। তার সঙ্গেই এখন পাল্লা দিচ্ছে ট্যুইটার। কার্যত এই দুটি সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রচার চালানোর জন্য সব থেকে বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। দেওয়াল লিখনের তুলনায় সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলে খরচ এবং সময় দুটোই বাঁচে। তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছনো যায়। সেই কারণে সামাজিক মাধ্যমে ভোট প্রচার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এব্যাপারে ডান-বাম সবপক্ষই একই পথ অনুসরণ করছে। সেই জায়গায় তৃণমূল পিছিয়ে থাকুক এটা একদমই চান না অভিষেক। আর সেই কারণেই এই সব নির্দেশাবলী। গত কয়েকবছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। নির্বাচন সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য বর্তমানে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে। তৃণমূলও সেই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রচারে সবার আগে এগিয়ে থাকুক এমনটাই চাইছেন অভিষেক।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকে পরিচালনা করছে পাকিস্তান : শুভেন্দু অধিকারী

দার্জিলিঙে কুয়াশার দরুন হলুদ সর্তকতা জারি , বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতায় হবে বৃষ্টি

বেআইনি নির্মাণের হোতারা সাবধান, নজরদারিতে কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার

গরমের আগেই বৃষ্টির ছোঁয়া,দানা পাকাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়!বজ্রপাতে কাঁপবে বাংলাও

এসএসকেএম হাসপাতালে পাঁচ দিনে ১৭৫ টি অস্ত্রোপচার, চিকিৎসকদের প্রশংসায় মুখ্যমন্ত্রী

প্রতুলকে চোখের জলে শেষ বিদায় মমতার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর