নিজস্ব প্রতিনিধি: মামলার জেরে বন্ধ হয়েছিল বেতন। এমনকি যে স্কুলে পড়াতেন সেই স্কুলের অনুমোদনও বাতিল হয়ে গিয়েছিল। রাজ্য সরকার তাঁকে অন্য স্কুলে স্থানান্তর করে দিলেও বেতন চালু আর হয়নি। এমনকি অবসরের পরে মেলেনি পেনশনও। তার জেরেই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের আইনি লড়াই। অবশেষে সেই লড়াইয়ে জয়ের মুখ দেখলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার কুলপি(Kulpi) ব্লকের আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলের(Adipara Ambedkar School) অর্গানাইজেশনের শিক্ষক(School Teacher) দীনবন্ধু পুরকায়ত(Dinabandhu Purakayet)। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দীনবন্ধুবাবুর সুদ-সহ বকেয়া বেতন(Salary) এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর পেনশন(Pension)-সহ যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। এই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।
আরও পড়ুন আদ্রার তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার শার্প শুটার
জানা গিয়েছে, ১৯৮৬ সালে আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলে অর্গানাইজেশন শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন দীনবন্ধুবাবু। ২০০০ সালের ১০ মে ওই স্কুলেরই স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে স্কুলে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে বেতনও পান। কিন্তু ওই বছরই স্থানীয় কিছু যুবকের করা মামলায় বন্ধ হয়ে যায় তাঁর বেতন। এরপর থেকেই শুরু হয় আইনি লড়াই। বাম জমানায় শুরু হওয়া সেই মামলা শেষ হল তৃণমূল জমানায়। তবে পরিবর্তনের পরে আইনি জটিলতায় ২০১৪ সালে আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলের অনুমোদন বাতিল করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেই সময় ওই স্কুলে যে সব শিক্ষক ছিলেন তাঁদের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীনবন্ধুবাবুকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, স্কুল বদল হলেও বেতন বন্ধের সমস্যা মেটেনি।
আরও পড়ুন গোবরডাঙায় বুলেট সমেত গ্রেফতার ২ বিজেপি নেতা
২০১৫ সালে নিয়ম মেনে অবসর নেন দীনবন্ধুবাবু। এবার বেতনের পাশাপাশি তিনি অবসরকালীন সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন। আইনি জটের জেরে জোটেনি না পেনশনও। অবশেষে লড়াই করতে আবারও দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় রাজ্য সরকারকে ওই শিক্ষকের বেতন-সহ পেনশন সুদ সহ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দীনবন্ধুবাবুর সুদ-সহ বকেয়া বেতন এবং ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁর পেনশন-সহ যাবতীয় পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।