নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের ২২ জুন রাতে পুরুলিয়া(Purulia) জেলার আদ্রা(Aadra) শহরে তৃণমূল(TMC) কার্যালয়ে গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে(Dhananjay Choubey)। তিনি তৃণমূলের টাউন সভাপতি ছিলেন। সেই ঘটনায় আগেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার এক ভাড়াটে খুনিকে(Sharp Shooter) নিজেদের হেফাজতে নিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ(Police) প্রশাসন। এখনও আরও দুই শুটারের খোঁজে চলছে তল্লাশি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘আদ্রার খুনের ঘটনায় ভাড়াটিয়া খুনিরা আগেই চিহ্নিত হয়েছিল। তিনজনের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজ চলছে। যাকে গ্রেফতার(Arrest) করা হয়েছে তাকে বিহার থেকে পাকড়াও করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রত্নেশ কুমার পান্ডে। বয়স মাত্র ২৮ বছর। বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার কেটিয়া থানার ডিগবাই গ্রামের বাসিন্দা সে। পেশায় ট্রাক্টর চালক।
আরও পড়ুন WEBEL’র চেয়ারম্যান হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
ধনঞ্জয় চৌবে খুনের ঘটনায় ২৩ জুন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন আরশাদ হোসেন এবং অপরজন মহম্মদ জামাল। আরশাদ ছিলেন পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী। আর মহম্মদ জামাল এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। দুজনই আদ্রার বাসিন্দা। এরপর ২৭ জুন খুনের মাস্টারমাইন্ড তথা আদ্রার সিন্ডিকেটের মাথা আরজু মালিক গ্রেপ্তার হয় বিহারের জামুই জেলার আরসার থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ৩জন শুটারের কথা জানতে পারে। সিসিটিভিতে তাদের ফুটেজও ধরা পড়ে। ওই তিনজন ভাড়াটে খুনিকে আগেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের স্কেচও বানানো হয়। সেই স্কেচের সঙ্গে রত্নেশের মিল রয়েছে। স্কেচের সূত্রে ধরে বাকি দুজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এখন পুলিশের অনুমান, রত্নেশকে ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন আরজু। শুক্রবারই বিহার থেকে রত্নেশকে গ্রেফতার করেছিল পুরুলিয়ায় জেলা পুলিশের ৫ সদস্যের দল। কিছুদিন আগে থেকে বিহারে তাঁরা ওত পেতে বসেছিলেন। শেষপর্যন্ত বিহার পুলিশের সমন্বয়ে ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তাঁরা।
আরও পড়ুন গোবরডাঙায় বুলেট সমেত গ্রেফতার ২ বিজেপি নেতা
এদিন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধনঞ্জয় চৌবের খুনের আগে সিসিটিভি ফুটেজে রত্নেশের ছবি ধরা পড়েছিল। বাইকে চেপে তাঁকে ধনঞ্জয়ের কার্যালয়ের দিকে আসতে দেখা গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, বাকি দুই ভাড়াটে খুনি কার্যালয়ের কাছেই রত্নেশের অপেক্ষা করছিল। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁরা এটাও জানান যে, ধৃত রত্নেশ কুমার পান্ডেকে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।