নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোটের দামামা আগেই বেজে গিয়েছে। এবার শাসকদলও পুরোপুরি নেমে পড়ল ভোটযুদ্ধে। শুক্রবার বিকেল চারটে থেকে কালীঘাটে বৈঠকে বসেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীতালিকায় প্রথমেই চমক। এবার ৩৯ জন কাউন্সিলরকে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে জল্পনা কাটিয়ে টিকিট পেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তালিকায় রয়েছে অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমারের নামও। মোট ৬ জন বিধায়ক পুরভোটে লড়বেন। ৪৫ শতাংশ মহিলাকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। সাংসদ মালা রায়কে ফের টিকিট দিয়েছে দল। ৮৭ জন কাউন্সিলরের উপর পুনরায় ভরসা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে বাদ গেলেন ৩৯ জন। সেখানে নতুন প্রার্থী দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার বিকেলে পুরভোটে প্রার্থীতালিকা চুরান্ত করতে ম্যারাথন বৈঠক করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মূলত দফায় দফায় আলোচনা করেন তিনি। সূত্রের খবর, তালিকায় কাকে রাখা হবে আর কারা কারা বাদ যাবেন সেটা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়ে দেন, ফিরহাদ হাকিম-সহ ছয় বিধায়ক ও এক সাংসদ টিকিট পাচ্ছেন। অর্থাৎ পুরসভা চালাতে অভিজ্ঞদের উপর ভরসা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ঘুর্ণিঝড় যশ বা আয়লা পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নাজেহাল হয়েছিল পুরসভা। সেসময় কয়েকজন কাউন্সিলরের কাজে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আবার একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও কয়েকজন কাউন্সিলর তথা পুর প্রশাসক নিস্কৃয় হয়ে গিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। অনেকেই তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সে খবরও পৌঁছে যায় তৃণমূলনেত্রীর কাছে। এই কারণেই এত বিপুল সংখ্যক বিদায়ী কাউন্সিলরকে টিকিট দিল না তৃণমূল। যদিও তৃণমূল সাংসদ তথা বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, যারা যারা টিকিট পেলেন না তাঁদের সাংগঠনিক কাজে নিয়ে আসা হবে। অনেকেই মনে করছেন এটা আসলে সান্তনা পুরস্কার।