নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল যে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোট নেওয়া হবে। সেই ৪টি পুরনিগম হল বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি। কিন্তু কোভিড আবহে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের নানা মহলে। তার জেরে অনেক মহল থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ গিয়েছিল ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। পরে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনকে জানিয়েছিল কোভিডের ওই আবহে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা দেখতে। আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের পরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই চার পুরনিগমের নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে। কিন্তু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, কোভিড আবহে আদালত চার পুরসভার নির্বাচন চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনোর পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তা মেনে চলেনি কমিশন। যা কার্যত আদালত অবমাননার সামিল। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠতে পারে চলতি সপ্তাহেই।
মামলাকারীর তরফে তাঁর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, ‘আদালত ৬ সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু কমিশন তা মানেনি। ভোট মাত্র ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন। কেন আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা এড়িয়ে গিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন? ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সাত দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে! তার পরেও কমিশন কোনও উত্তর দেয়নি। তাই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য এদিনই আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দ্বিতীয় দফার পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করে বঙ্গ বিজেপির ওই প্রতিনিধিদল দ্বিতীয় দফার পুরভোট যাতে অন্তত একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয় সেই আর্জি জানাবে। কেননা কমিশন প্রথম দফায় রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দফার পুরভোটের নির্ঘণ্টে কোনও পরিবর্তন করেনি। সেই হিসাবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট নেওয়া হবে। যদিও কমিশন এই নিয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।