নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৫-সালের বিধাননগর পুরভোটের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেই বিষয়ে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে যায় বিরোধীরা। সেই মামলায় নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে যাবতীয় দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশনামায় জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও জায়গায় গন্ডগোল হলে তার দায় বর্তাবে কমিশনের ওপর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ১২ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করবে। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন।
কলকাতা হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, যদি কমিশন মনে করে বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন আছে, তাহলে মোতায়েন করবে। বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশন যে সিদ্ধান্তই নিক শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায় বর্তাবে কমিশনের ওপর, কিন্তু বাহিনী যদি মোতায়েন না করা হয়, তাহলে কোনও গোলমাল হলে তার যাবতীয় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর স্পষ্ট জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শনিবার বিধাননগর পুরনিগমের ভোটগ্রহণ। তাই সমস্ত ব্যবস্থা ও অশান্তি এড়াতে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কমিশনের কাঁধেই।
এরই সঙ্গে পোলিং এজেন্টের ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, পুরভোটে পোলিং এজেন্টদের নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। অর্থাৎ পোলিং এজেন্টরা নিজেদের ভোটকেন্দ্রেই এজেন্ট হতে হবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। পাল্টা আদালতে বিরোধীদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এজেন্টদের তাদের ওয়ার্ডের পরিধি থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। যা মান্যতা দেয়নি আদালত। এরই সঙ্গে আদালত এদিন জানিয়েছে, সব বুথে ঠিক ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করতে হবে।