নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শতাব্দীপ্রাচীন পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বাড়ি ভেঙ্গে পড়ল। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। শিশুসহ আহত এক ব্যক্তি। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার রাত ১০.৩০টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ৩ ঘণ্টা পর আহতদের উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের একটি ৫ তলা বাড়ির ৩ তলার অংশের বারান্দা এবং সিঁড়ি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম ইলোরা আগরওয়াল। সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁর স্বামী। ঘটনার ৩ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় দম্পতি ও এক শিশুকে। রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুরসভার নতুন বসবাসকারি আইন অনুযায়ী যাঁরা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন, তা যদি ভাড়া বাড়িও হয়, তাহলে সেখান থেকে দূরে চলে গেলেও তার ভোগস্বত্ত্ব থাকবে। তাই বিপজ্জনক বাড়িতে কারুর ভিটেমাটি চলে যাওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আপাতত ৬৫এ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বাড়ির সামনের খোলা মাঠে পুরসভার তৈরি করে দেওয়া অস্থায়ী ছাউনিতে তাঁরা থাকুন। পরে এই বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে যখন এখানে নতুন বিল্ডিং করবেন, তখন এই বাড়ির ১০ টি পরিবারের ৫১ জন বাসিন্দা, যতটুকু এলাকা জুড়ে বসবাস করতেন, তার সমপরিমাণ থাকার জায়গা পাবেন।’
সূত্রের খবর, পুরসভার তরফে আগেই বাড়িটিকে ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করা হয়েছিল। বাড়ির দেওয়ালে সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বসবাস করছিলেন। উল্লেখ্য, কলকাতাজুড়ে এরকম বহু বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু বাড়ির বেহাল দশা। বর্ষায় এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়।