নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২১ মার্চ কলকাতার বিশিষ্ট মণ্ডপশিল্পী বন্দন রাহার (Bandan Raha) ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার (Recover) হয়েছে। নামকরা শিল্পীর এমন রহস্যমৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন ঘোরেফেরা করছে। সেই আবহে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বন্দন রাহার দাদা চন্দন রাহা। ৬ বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল শিল্পীর। মাঝে স্ট্রোকও হয়েছিল। অর্থ সঙ্কটের কারণে স্ত্রীর ভরণ পোষণে দিতে পারছিলেন না সময়মতো। আর সেই কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। যার ফলে বন্দন রাহা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানান চন্দন।
মণ্ডপশিল্পীর দাদা চন্দন রাহা বলেন, ‘ছ’ বছর ধরে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। ভরণপোষণের টাকা দিতে সমস্যা হচ্ছিল ওর।’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা যে খারাপ, সেটা ওরা বুঝতে চাইছিল না। খোরপোষ দিতে পারেনি বলে সাত আট মাস আগে ওর নামে ওয়ারেন্ট বেরিয়ে গিয়েছিল। যার জেরে ওকে পুলিশ কাস্টডিতে থাকতে হয়। ফলে ডিপ্রেশনটা বাড়ছিল।’ গত তিন চার বছর ধরে শিল্পী বন্দনের অসুস্থতা বেড়েছিল বলে জানান তাঁর দাদা। ইদানিং মেজদা বাচ্চু রাহার বাড়িতে থাকছিলেন শিল্পী। বাচ্চু এবং তাঁর স্ত্রী বন্দন রাহাকে দেখভাল করতেন। গত ২১ তারিখে বাচ্চু রাহা নিজের স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তারপর বাড়িতে এসে দেখেন এই ঘটনা।
উল্লেখ্য মণ্ডপশিল্পী বন্দন রাহা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন শহরের নামকরা এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর মেয়েকে। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। শিল্পীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি স্ত্রী। তাই ছ’ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। তার পর থেকে আর্থিক সঙ্কট আরও বেড়েছিল শিল্পীর।