নিজস্ব প্রতিনিধি: দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় গুজরাটি ব্যবসায়ী দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। তার পর খুন হওয়া দম্পতির ছোট মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে এদিন তাঁকে আশ্বস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারীরা। ওই বাড়ির পরিচারিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে খুন হওয়া দম্পতির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নামছে ফরেন্সিক দলও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া দম্পতি অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমি শাহ-র দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে তাঁদেরকে আক্রমণ করে খুন করা হয়েছে। খুন করার পর আততায়ীরা পায়ে হেঁটে গাড়িতে পালায়। অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রেশমির দুটি ফোনই উধাও। সেগুলিরও খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গুজরাতি দম্পতি শেয়ার বাজারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের তিন মেয়ে রয়েছে। ছোট মেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন। তিনি সোমবার সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা খোলা রয়েছে। এর পর ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন বাবা ও মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি দেখেন ঘরের মধ্যে আলমারি খোলা রয়েছে এবং টিভি চলছে। এর পর ঘটনার খবর পেয়ে ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড স্কোয়াডের তদন্তকারী দল এবং অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সোমবার রাতে রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুলিশ স্নিফার ডগকে নিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানোর সময় দেখা যায়, কুকুর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গন্ধ অনুসরণ করে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হরিশ পার্কের দিকে গিয়ে থেমে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। অপরাধী ধরা পড়বে বলে জানান মন্ত্রী। অন্যদিকে কী কারণে এমন খুন, ব্যক্তিগত শত্রুতা না কি ব্যবসায়িক শত্রুতা, গোটা বিষটির তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।