এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার বাজিমাত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতায় বসে বসেই কার্যত বাজিমাত করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে(Presidential Election) প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস(INC)। খোদ মমতা-সোনিয়া বার্তালাপের পরেই কংগ্রেসের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে মমতা আগামী ১৫ জুন দিল্লিতে কন্সটিটিউশান ক্লাবে যে বৈঠক ডেকেছেন তাতে সোনিয়া(Sonia Gandhi) উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁর অসুস্থতার কারণে। তবে কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি বার্তা এসেছে বামেদের তরফেও। তাঁদেরও কেউ সম্ভবত ১৫ তারিখের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না। কিন্তু বিরোধীরা যদি সর্বসম্মতিতে কাউকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে পারে তাহলে তাঁকেই ভোট দেবেন বামেরা, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।

আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন হবে। তার জন্য ১৫ জুন থেকেই মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২৯ জুন পর্যন্ত সেই মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২১ জুলাই হবে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণার পালা। সারা দেশের ৪ হাজার ৮০৯ জন সাংসদ-বিধায়ক এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কিন্তু দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলই এই নির্বাচনে তাঁদের সাংসদ ও বিধায়কদের ওপর নির্দিষ্ট কোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে হুইপ জারি করতে পারবে না। অর্থা‍ৎ নিজের খুশি মতো যাকেতাকে ভোট দেওয়ার অধিকার পাচ্ছেন প্রতিটি দলের সাংসদ ও বিধায়করা। আর এখানেই চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কেননা তাঁদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদ বিধায়কদের সমর্থন নেই। জয়ের জন্য তাঁরা ইতিমধ্যেই এনডিএ-তে না থেকেও কেন্দ্রের সঙ্গে সহমত পোষণ করে চলা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁদের সমর্থনে বিজেপির প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়ে রাইসিনায় পাঠানোর।

কিন্তু বিজেপি এই হিসাব গুলিয়ে দিতে মাঠে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত কলক্তাতে বসে থেকেই শুধু ফোন করেই তিনি বিজেপি বিরোধী সার্বিক জোট গড়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি তিনি কথা বলে নিয়েছেন সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেও। আর সেই জায়গা থেকেই কংগ্রেস নিজেরা কোনও প্রার্থী দাঁড় করাতে চাইছে না এখনই। ১৫ তারিখের বৈঠকে কোনও অকংগ্রেসি নেতাকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন মমতা। তাতে আপত্তি নেই সোনিয়ারও। সেই হিসাবে হয় শরদ পাওয়ার(Sharad Pawar) না হয় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াকেই(H D Devagowda) প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, ওই দুইজনকে নিয়ে কংগ্রেসেরও কোনও আপত্তি নেই। তাই ১৫ তারিখের বৈঠকে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই দুইজনের যে কোনও একজনই কার্যত বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে উঠে আসতে চলেছেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ায় ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি’র মতো দলগুলির ভোট পাওয়াও কার্যত নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এমনকি এক্ষেত্রে বামেদের সমর্থনও মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কংগ্রেস শেষ মুহুর্তে তাঁদের সিদ্ধান্ত বদলে প্রার্থী দিতে গেলে তা যে শুধু মোদি তথা বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করবে তাই নয়, সোনিয়া-রাহুলের মুখও পুড়বে। সেটা আন্দাজ করেই সম্ভবত সোনিয়া ১৫ তারিখের বৈঠকের দিকেই আপাতত তাকিয়ে থাকছেন। সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও আস্থা রাখছেন মমতার ওপর।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে অমিত শাহকে খোঁচা চন্দ্রিমার

দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে ,পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রির ঘরে

মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ফের নালিশ তৃণমূলের

একই দেহে ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে নয়া রেকর্ড গড়ল এসএসকেএম

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিতের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগের রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর