এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলায় জোটের স্বার্থে অসমে আর মেঘালয়ে তৃণমূলকে আসন ছাড়তে রাজী কংগ্রেস

Courtesy - Twitter and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গের বামেরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি যতই ব্যাগড়া দিন না কেন, বাংলার(Bengal) মাটিতে মমতার হাত ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস(INC) হাইকম্যান্ড। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) যতই জানিয়ে দিন না কেন, ২৪’র ভোটে(General Election 2024) বাংলার মাটিতে তৃণমূল(TMC) একাই লড়বে, তবুও হাল ছাড়তে নারাজ সোনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi)-রাহুল গান্ধিরা(Rahul Gandhi)। বাংলায় যাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হয় তার জন্য তাঁদের তরফে এবার ইঙ্গিত দেওয়া হল অসমে(Assam) ও মেঘালয়ে(Meghalaya) একটি করে লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়ার। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন আছে। তবে এটাও ঘটনা, গতকাল কলকাতার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা কংগ্রেসকে যেভাবে নিশানা বানিয়েছেন, এদিন কিন্তু ততটা আক্রমণ করেননি। 

অসমে তৃণমূল আগে তাঁদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করেছে। সে রাজ্যের প্রয়াত বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্নিতা দেব আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। মমতা তাঁকে দলের রাজ্যসভার সাংসদ করেও পাঠিয়েছেন। খুব সম্ভবত ২৪’র ভোটে মমতা তাঁকে শিলচর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও করতে পারেন। তৃণমূল সেখানে প্রার্থী দিলে কংগ্রেসের পরাজয় যে নিশ্চিত সেটা বুঝেই এবার সেই কেন্দ্রটি তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস। পরিবর্তে তাঁদের দাবি বাংলার রায়গঞ্জ আসনটি। অসমে তৃণমূল এখনও সেভাবে কোনও বড় রাজনৈতিক সাফল্য পায়নি। সেই জায়গায় কংগ্রেসের সমর্থনে যদি সুস্মিতা বা তৃণমূল জেতে তাহলে লাভ জোড়াফুল শিবিরেরও। কেননা সেক্ষেত্রে তৃণমূল ফের সর্বভারতীয় দলের স্বীকৃতির জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারবে।

অন্যদিকে মেঘালয়ে তৃণমূলের উপস্থিতি প্রধান বিরোধী দল হিসাবে। ১২জন বিধায়ক সেখানে রয়েছে তৃণমূলের। সেই হিসাবে তৃণমূল সে রাজ্যে প্রার্থীও দেবে। যদিও জয় অনিশ্চিত। আবার তৃণমূল সে রাজ্যের ২টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিলে কংগ্রেসকেও মুখ থুবড়ে পড়তে হবে। মাঝখান থেকে লাভ হবে বিজেপির। তাই কংগ্রেস মেঘালয়েও একটি আসন তৃণমূলকে ছেড়ে দিতে চাইছে। তাতে লাভ দুই দলেরই। পরিবর্তে এ রাজ্যের বসিরহাট আসনটি চাইছে কংগ্রেস। যদিও এই প্রস্তাবে মমতা রাজী হবেন কিনা তা নিয়েও ঘোর সন্দেহ আছে।

এদিন মমতা রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে জানান, ‘বাংলা অন্য রাজ্যকে পথ দেখাবে। আমি অল আউট খেলব। সমস্ত রিজিওনাল পার্টি যদি এগিয়ে যায়, সব জাতীয় দল যদি এগিয়ে যায় তাহলে তাহলে বিজেপির সমস্যা। চিরকাল কেউ থাকে না। ওরা অনেক অত্যাচার করেছে। বিজেপি আর না। লড়াই তো হবেই। লড়াই তো চলবেই। খেলা তো হবেই।’ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মমতা এখানে ‘জাতীয় দল’ হিসাবে বাম ও কংগ্রেসকেই কার্যত বার্তা দিয়েছেন একগুঁয়ে মনোভাব ছেড়ে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে জোট গঠন করার জন্য। মমতা আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন এ রাজ্যে কংগ্রেসকে তিনি ২টি আসন ছেড়ে দেবেন।

কিন্তু এতকম আসনে এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তি রয়েছে খোদ রাহুল গান্ধিরও। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলকে যদি অসম ও মেঘালয়ে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলে তৃণমূলনেত্রী নরম হলেও হতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও তৃণমূলের অন্দরে দাবি, বসিরহাট তৃণমূলের জেতা আসন। কংগ্রেসের এ রাজ্যে একজনও বিধায়ক নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁরা বসিরহাটের দাবি জানায় কীভাবে? আর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল একাই একুশের ভোটে ৫টা আসন জিতেছিল। তাই সেই আসনও বা তৃণমূল কেন কংগ্রেসকে ছাড়বে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশ্ব হাসি দিবসে প্রকাশিত হল প্রয়াত অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌতুক নকশা

দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান ‘পদ্মশ্রী’ দর্শনম মোগুলাইয়া

সোমবার থেকে বঙ্গে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা উধাও, ধেয়ে আসছে ঝড় – বৃষ্টি

রায়বরেলি-অমেথিতে কংগ্রেসের প্রচারের নেতৃত্বে প্রিয়াঙ্কা

অক্ষয় তৃতীয়ার আগে সস্তা সোনা, আশায় বুক বাঁধছেন ক্রেতারা

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের কর্মীদের মুখ বন্ধের নির্দেশ রাজ্যপালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর