নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে জাহাঙ্গিরপুরীতে ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দিল্লি পুলিশের। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়ায় দিল্লি পুলিশ। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই টিম শুক্রবার পৌঁছয় দিল্লিতে। পাঁচ জনের এই দলে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অর্পিতা ঘোষ, অপরুপা পোদ্দার, শতাব্দী রায়। প্রথমে দিল্লির তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে যায় ওই দল। তারপর সেখান থেকে রওনা দেয় জাহাঙ্গিরপুরীর দিকে।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘এসে দেখলাম, এলাকাটা চারিদিক থেকে ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে । পুলিশ মানুষকে মানুষ মনে করছে না। পুরো এলাকা বন্ধ করে রেখেছে । স্থানীয় এক মহিলা ও শিশুদের সাহায্য এলাকায় ভেতরে চলে গিয়েছিলাম। পেছনের রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম সেখানে।’ পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন এদিন তৃনমূল নেতৃত্ব। ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য তাঁরা পেয়েছেন তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। এদিন দিল্লিতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি আমরা। কী ঘটেছে তা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানবে এই টিম। সেই মত এদিন জাহাঙ্গিরপুরীতে ঢুকতে গেলে বাধা পান পুলিশের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে (TMC Jahangirpuri) বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নামে প্রশাসনের ‘গা-জোয়ারি’ মনোভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বেছে-বেছে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পত্তিকেই নিশানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বাধীন দিল্লির প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পর শুক্রবার সেখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোড়াফুল শিবির। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জাহাঙ্গিরপুরীতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত, হান্নান মোল্লাদের পাশাপাশি আপ ও কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরাও জাহাঙ্গিরপুরীতে গিয়ে সরব হয়েছেন।