নিজস্ব প্রতিনিধি: এসএসসি কাণ্ড থেকে গরু পাচার মামলা। বৃহস্পতিবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে বেড়িয়ে এই দুই ঘটনা নিয়েই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) ও রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে(Paresh Chandra Adhikari) খোঁচা দিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। এসএসসি কাণ্ডে বুধবারই কলকাতার নিজাম প্যালেসে(Nijam Palace) সিবিআই কার্যালয়ে হাজিরা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এদিন আবার ওই একই জায়গায় সিবিআই(CBI) সমীপে হাজিরা দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই দুই ঘটনা প্রসঙ্গেই এদিন খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ।
ঠিক কী বলেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বর্তমান বিজেপি সাংসদ? দিলীপ এদিন প্রথমেই মুখ খুলেছেন অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে। বলেছেন, ‘এখন যেটা ঘটছে সেটা আগেই ঘটা উচিত ছিল। শিক্ষার জন্য আমরা গর্বিত ছিলাম। সেই শিক্ষাব্যবস্থা এখন কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতি হচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্যারেড করে সিবিআই দফতরে যেতে হচ্ছে। এই সরকারের আমলে বাংলার সার্বিক পতন হচ্ছে। কোর্ট বুঝতে পেরেছে এই দুর্নীতি মাথার উপর উঠে গিয়েছে। তাই কোর্ট ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আশা করি ফলাফল ঠিকঠাক হবে।’ এরপরেই দিলীপ মুখ খোলেন পরেশকে নিয়ে। বলেন, ‘ওনাকে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন হবে। কিন্তু এই অবস্থা কেন হবে? পার্টিতে যোগ দিলেই মন্ত্রীত্ব। সন্দেহ প্রকাশ করছি এরা জেলে যাবে কিনা! না গেলে অবশ্য সমাজের মধ্যে হতাশা নেমে আসবে। চুরি করলে পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাই হচ্ছে। রাষ্ট্রের অধিকার এবং ক্ষমতা আছে তাঁকে খুঁজে নিয়ে আসার। আমার মনে হয় এটা হবে। এই ঘটনা খুব হতাশাজনক। এক্ষেত্রে নজিরবিহীন শাস্তি হওয়া উচিত।’
আবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্পে দলের নেতাদের নাক গলানো নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কোনও অপরাধীর পাশে নেই বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়েও এদিন কতাক্ষ হেনেছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘এইসব উনি আগেও বলেছেন, আমরাও শুনেছি। মেদিনীপুর, খড়গপুর দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে। উনি প্রতিবার এসে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু সমাধান হয়নি। ওঁর কন্ট্রোল করার মতো কিছু নেই। এতদিন ব্যবস্থা নেননি কেন? উনি জানতেন না অপরাধ হচ্ছে। একটা বাচ্চা ছেলেও জানে। টাকার ভাগ সবাই পেয়েছে। রাজ্যকে আর কত নীচে নামাবেন ওঁরা!’