এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলায় বর্ষার মরশুমে প্রতিদিন বজ্রপাতে প্রাণ হারাচ্ছেন ৪ জন

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঞ্চল্যকর তথ্য। একইসঙ্গে উদ্বেগেরও। রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) পরিসংখ্যান বলছে বাংলায়(Bengal) প্রতি বছর বর্ষার মরশুমে(Monsoon Season) এখন বজ্রপাতে দৈনিক মৃত্যু(Death Due to Lightning) হচ্ছে ৪জন করে। সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Legislative Assembly) দেওয়া পরিসংখ‌্যানে দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালে রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০৪ জনের। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা ২৬৫। ২০২০ সালে ২৯৫, ২০২১ সালে ২৬০, ২০২২ সালে ২২৯ এবং ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ১৩৬ জন। অঙ্ক কষলে দেখা যাবে বজ্রপাতের কারণে ফি বছরে ৬০-৭০ দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি দিন গড়ে ৪জন করে। ৬০ থেকে ৭০ দিনের কথা তুলে ধরা হচ্ছে এই কারণে যেহেতু দেখা যাচ্ছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই ৪ মাসে বাংলায় সব থেকে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে আর সেই ঘটনায় একই দিনে একাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। 

কিন্তু কেন এত বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে? কী বলছেন পরিবেশবিদ থেকে আবহাওয়াবিদরা? আবহাওয়াবিদদের দাবি, মেঘে মেঘে সংঘর্ষের ফলে আকাশে যে কয়েক লক্ষ ভোল্টের বিদ্যুৎ তৈরি হয়, তা আকাশ থেকে দ্রুত গতিতে মাটির দিকে ধেয়ে আসে। যত উঁচু বাড়ি গাছ এবং বাড়ির ছাদ পায়, সেখানে তত দ্রুত সেই বাজ আছড়ে পড়ে। বর্ষা শুরু এবং শেষের সময়ই বজ্রপাতের সংখ‌্যা বাড়ে। যে সময় নিম্নচাপ বা বর্ষার বৃষ্টি হয় না সেই সময়েই এই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়। বর্ষার সময়কাল এখন কমে গিয়েছে। তার বদলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বেড়েছে। বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ার অন‌্যতম কারণ জলবায়ু ও আবহাওয়াজনিত নেতিবাচক পরিবর্তন। সব থেকে বেশি এখন মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে গ্রামাঞ্চলে। এই বাংলার বুকেই গ্রামাঞ্চলে বাজ পড়ে একই দিনে ২০জনেরও বেশি মানুশ প্রাণ হারাবার ঘটনা ঘটেছে। তাই বজ্রপাত থেকে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। ওই সময়টায় বাড়ি থেকে একদমই বার হওয়া যাবে না।

অন্যদিকে পরিবেশবিদরা কিন্তু এই বজ্রপাত বাড়ার জন্য মানুষের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি, শহরের পাশাপাশি এখন শহর লাগোয়া গ্রামেও কংক্রিটের বাড়ি, রাস্তা এবং ইমারত তৈরি ও বেশি পরিমাণে নির্মাণকাজের ঘটনা ঘটছে। সেই সব এলাকায় খুব দ্রুত জনসংখ্যাও বাড়ছে। ফলে ওই সব এলাকায় তাপমাত্রাও বাড়ছে। এতে বায়ুপ্রবাহের পরিবর্তন ঘটছে। যা বাজ পড়াকে প্রভাবিত করছে। নগরায়নের ক্ষেত্রে উঁচু বাড়ি তৈরির জন্য বায়ুপ্রবাহের ধরনও আমূল বদলাচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই পরিবর্তন বজ্রপাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। উঁচু বাড়ি তৈরির জন্য সবুজ নষ্ট হওয়ার কারণেও বজ্রপাতের ঘটনা বেড়ে চলেছে। শহুরে দূষণ মূলত নির্মাণ ও পরিবহণের জন্য। সেই দূষণের জেরে ভাসমান ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে বজ্রপাতের ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এমনকী রান্নাঘরের কল এবং বাড়ির মধ্যে স্টিলের কলও বজ্রপাতের সুপরিবাহী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর