নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার খাস কলকাতার ৩টি স্থানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালিঘাটের কাকু’র লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স কোম্পানিতেও তল্লাশি চালায়। কিছু নথি ও ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়। বুধবার ইডির জারি করা বিবৃতিতে তল্লাশি সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল। কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কাজে এই কোম্পানিকে ব্যবহার করা হত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই সংস্থার ডিরেক্টরও ছিলেন। মূলত এত টাকা কেন এই কোম্পানির মাধ্যমে লেনদেন চলত? কোথায় লেনদেন করা হত্? শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে এই লেনদেনের যোগসূত্র রয়েছে কিনা? সর্বোপরি এই দুর্নীতির কিংপিং কে? এই অধরা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখার্জী, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, শান্তনু ব্যানার্জী, অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যদিও রাজ্যের শাসকদল ধৃত সকলের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ধৃতদের। রাজ্যের শাসকদল দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ না করে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের।