-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 3:28 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের কোষাগারে অর্থের টানাটানি। কেন্দ্র সরকার(Central Government) বকেয়া কোটি কোটি হাজার টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। তার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের DA দেওয়াও যাচ্ছে না। তবুও এই অবস্থার মধ্যে যাতে রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়াদের(Students) পড়াশোনা বন্ধ হয়ে না যায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার অভাবী-মেধাবীদের পাশে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হচ্ছে না। আর তাই চলতি বছরে বাংলার ৮ লক্ষ পড়ুয়াকে Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship’র মাধ্যমে ১৪০০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কার্যত রাজ্যের ভাঁড়ারে টানাটানি থাকলেও অভাবী কিন্তু মেধাবীদের পাশে দাঁড়াতে মমতার সরকার যে দরাজ হস্ত, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার।
আরও পড়ুন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেই মিলবে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’
আর্থিক অনটনের কারণে কোনও মেধাবী পড়ুয়ার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাক, তা একদমই চান না বাংলার অগ্নিকন্যা। তাই তাঁর উদ্যোগে চালু হয়েছে Swami Vivekananda Merit Cum Means Scholarship। যখন এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল সেই সময় নিয়ম করা হয়েছিল, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্ত পড়ুয়াদের এই স্কলারশিপে আবেদন করতে গেলে শেষতম পরীক্ষায় নূন্যতম ৭৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, তাতে অনেক দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়া সেই শর্ত পূরণ করতে না পারায় তাঁরা আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই বছর দু’য়েক আগে যোগ্যতামান কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়। তারপর থেকে আবেদনের হিড়িক পড়ে। আগে যেখানে ৩ থেকে ৫ লক্ষের মধ্যে থাকত আবেদনকারীর সংখ্যা, এখন সেটাই ৯ লক্ষ ছুঁইছুঁই। এই স্কলারশিপ বা বৃত্তি দিতে এবার প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এই খাতে গত আর্থিক বছরের উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে চলতি অর্থবর্ষের ১১০০ কোটি টাকা যুক্ত করে এই টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন চলতি বছর থেকেই বাংলায় 4 বছরের Honours Degree Course
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। ৬ লক্ষের বেশি পড়ুয়ার Bank Account-এ ইতিমধ্যেই স্কলারশিপের টাকা ঢুকেও গিয়েছে। যেহেতু এই প্রকল্পে নতুন আবেদনকারীর পাশাপাশি আগে এই বৃত্তি পেয়েছেন, তেমন পড়ুয়ারা আবেদন করলেও বৃত্তি দেওয়া হয়, তাই এবার আবেদনের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েছে পোর্টালে। ঝাড়াই বাছাইয়ের পর স্কলারশিপ প্রাপকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষের সামান্য বেশি। সাধারণ ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করছেন, এমন প্রায় ৩ লক্ষ পড়ুয়া বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া পলিটেকনিক, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনেক ছাত্রছাত্রী বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন। সেই সঙ্গে ৮৪ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াও ফর্ম জমা করেছে বলে জানা গিয়েছে। যারা এখনও টাকা পাননি তাঁদের Bank Account-e যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টাকা পাঠানোর কাজ চলছে।