নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ত্রাস দেখছে সিকিম। তিস্তায় হড়পা বানে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর সিকিমে জারি লাল সতর্কতা। ইতিমধ্যেই রাত ২টো নাগাদ সিকিমের মুখ্যসচিব বাংলার মুখ্যসচিবকে ফোন করে সহযোগিতা চেয়েছেন। সিকিমে ১০ নং জাতীয় সড়কের একাধিক অংশ গিলেছে তিস্তা। তিস্তার দু’পাশে যা রয়েছে সব নিয়ে ভেসে আসছে। ফলে তিস্তার উপর সেতুগুলিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই মূল দলের পাশাপাশি পূর্ত দপ্তর ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষ দল পাঠাচ্ছে। এর আগে জরুরি বৈঠক বসল নবান্নে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির উপর থেকে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা নদী। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ দিয়ে বয়ে যায় তিস্তা নদী। মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে লোনাক হ্রদ ফেটে পড়ায় বিপুল পরিমাণে জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট জলস্তর বেড়েছে তিস্তার এর পরই ঘটে বিপত্তি। তাই তিস্তার এই ভয়ংকর রূপে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রবল। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি কালিম্পঙ এর সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জানালেন এডিজি এলও জাভেদ শামিম। তবে কা সিকিমে এখনো কতজন পর্যটক আটকে রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই তিস্তায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে।তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলস্তর আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা। তিস্তার দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করেছে সেচ দপ্তর।