নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে বকটুই কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Shaikh) মৃত্যুতে এবার মামলায় নাম জুড়ল সিবিআই আধিকারিকদের। লালনের রহস্যমৃত্যু নিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি-সহ মোট ৭ জনের। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুনের অভিযোগ)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে ধারাগুলি দেওয়া হয়েছে সেগুলি জামিন অযোগ্য ধারা বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের এসপি ও ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর ও অভিযোগের কপি সংগ্রহ করে আইনি পরামর্শ নেবে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বকটুই কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে শৌচাগার থেকে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ লালনের পরিবারের। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-য়ের দাবি, লালন আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে লালন শেখের আত্মীয় ও গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবি।