নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকীয়া নিয়েই হোক বা যেকোনো বিষয়েই হোক, নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে হবে। তা না করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তি কারোরই আইনকে নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আদালতের আছে। সেই রীতিনীতি পদ্ধতি এবং আইন মেনে সবাইকে চলতে হবে। তাই এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা মারধর করেছেন তাদেরকে অবিলম্বে পুলিশকে গ্রেফতার করতে হবে। জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)।
আইন সবার জন্য সমান, সবকিছুর ঊর্ধ্বে। তাই যেকোনো ঘটনা ঘটলে বা অন্যায় করলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বা আই এস এফ রং দেখা হয় না। কোর্টের বিচার আইন অনুযায়ী হয়। যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন তিনি যে দলের লোকই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তাকে আইনের সামনে দাঁড়াতেই হবে,মত ফিরহাদের।পারুই সহ সংলগ্ন অঞ্চলে একের পর এক বোমা বারুদ পাওয়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। পুলিশ তদন্তে নেমে দেখতে চাইছে এর উৎস কোথায়। যেহেতু এই অঞ্চলগুলি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)সংলগ্ন ।ফলে সেখান থেকে বহিরাগতদের আনাগোনা ,মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার মত বিষয়গুলি জড়িয়ে থাকতে পারে। একইভাবে বাসন্তীতেও যেভাবে বোমা ও বোমা বানানোর বারুদ পাওয়া গিয়েছে তার ফলে সন্দেহের তীর বিজেপির দিকেই উঠছে। কারণ বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। সুতরাং সেই কারণেই,তারা পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড বা অন্যান্য জায়গা থেকে এই ধরনের বোমা কার্তুজ বারুদ গোলাগুলি আমদানি করছে। ডিফেন্সের গুদাম(Defence Gowdown) থেকে এইসব বারুদ বোমার মশলা বের হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় ফিরহাদ হাকিম।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) বলেন,মালদহে পরস্পরের মধ্যে গুলি চলেছে সেখানে বন্দুক কোথা থেকে এল? হাই মাদ্রাসা নির্বাচনে অশান্তি হচ্ছে। বীরভূম, বাসন্তী সব জায়গায় কি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকেই গুলি ,বন্দুক আসছে ?রবিবার বিকালের বিমানে দিল্লি (Delhi)যাওয়ার আগে প্রতিক্রিয়া বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সংসদ দিলীপ ঘোষের। প্রসঙ্গত অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে বোমা বারুদ বেরোনোর কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।তারই পাল্টা হিসেবে রবিবার এই প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ বাবু।