এই মুহূর্তে




‘মা বোনেদের নিয়ে অসম্মানের খেলা যেন কেউ না খেলে’, বসিরহাটে বার্তা মমতার

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: অপেক্ষা ছিল তাঁর বার্তার। অপেক্ষা ছিল তিনি কী বলেন, কী করেন তার জন্য। তিনি এদিন এলেন, বার্তাও দিলেন। সাফ জানালেন, ‘সন্দেশখালির(Sandeshkhali) মা বোনেদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখিত। মা-বোনেদের নিয়ে যেন অসম্মানের খেলা কেউ না খেলে। ভোটের আগে বিজেপির(BJP) প্ল্যান-এ ছিল সন্দেশখালি। বাতিল হয়ে গিয়েছে। মা বোনেরাই বাতিল করে দিয়েছেন। এখনও প্ল্যান বি জারি রয়েছে। ধর্মস্থানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করা। এই ১০ বছরে ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি মেয়েদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। দলিতদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। আমাদের এখানে হয় না। আমাদের এখানে যে দু’-একটা ঘটনা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিই। রাম হোক বা রহিম কেষ্ট হোক বা বিষ্টু। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কাউকে ছা়ড়া হয় না। এটা সামনে না এলে মানুষ বুঝতেই পারত না বিজেপি চক্রান্তটা কী করে করেছিল। আরও যে কোনও জায়গায় করতে পারে।’ বসিরহাটের(Basirhat) মাটিতে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এই আশ্বাসই মঙ্গলবার দিলেন তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

মমতা এদিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি প্রত্যন্ত এলাকা সন্দেশখালি। সুকুমার আমাকে অনেকবার বলেছে, নুরুলরা অনেকবার বলেছে পুরো দ্বীপাঞ্চল। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনাটাও আবার অনেক বড়। একদিকে সুন্দরবন, বাঘের কামড়। আপনাদের এদিকেও আছে। অন্যদিকে পুরো বনভূমি, জলাভূমিতে ভর্তি। তাই ঠিক করেছি, সুন্দরবন নিয়ে একটা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছি। বসিরহাট নতুন জেলা হবে। সেই বারাসতে গিয়ে হেড কোয়ার্টার অনেক কষ্ট হয় আপনাদের। বসিরহাটের বেশির ভাগ অঞ্চল নিয়ে জেলা হবে। ওদিকে সাগর, সুন্দরবন, বকখালি নিয়ে আরেকটা জেলা হবে। জেলা হলে নতুন সাবডিভিশন হবে, ব্লক হবে। বেশি দূরে যেতে হবে না, কাছাকাছি কাজ হয়ে যাবে। এইসব জায়গাগুলোকে পাকাপোক্ত করতে হবে। জল, আকাশ, নদীনালা আমাদের হাতে থাকে না। এত ঝড় জল হয় কারণ বাংলা নদীমাতৃক। এর জন্য প্রচুর টাকা খরচ হয়। ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা লাগিয়েছি সমুদ্র পার শক্ত করতে। বসিরহাট নতুন জেলা হিসাবে ঘোষণা করব। সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা। বসিরহাট পুলিশ জেলা ঘোষণা করা হয়েছে।’

এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বিজেপি চক্রান্ত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। ২০২১ সালের ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার করে দেব বলেছিলাম, করেছি। কৃষকদের সাহায্য করার কথা বলেছিলাম, করেছি। যা যা বলেছিলাম সব করেছি। বিনা পয়সায় আপনারা রেশন পাচ্ছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকাও আমরা দিয়ে দিয়েছি যেটা মোদির দেওয়ার কথা ছিল। গরিবের টাকা আটকে রেখে ওরা বিজ্ঞাপণে খরচ করে। বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। ২০২১ মানে তিন বছর আগে যে শেষ বিধানসভা ভোট হয় আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা দিয়েছিলাম। করেছি কি না বলুন? বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছি কি না বলুন? ছাত্র ছাত্রীদের স্মার্ট কার্ড করে দিয়েছি। ক্লাস টেনে সবুজ সাথী সাইকেল পায়। ক্লাস টুয়েলভে ওঠে বিনা পয়সায় স্মার্ট ফোন পায় বিনা পয়সায়। পড়াশোনা করতে সুবিধা হয়। আগামিবার ক্লাস ১১-এ দেবো। ১০০ দিনের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ৬৯ লক্ষ পরিবারকে আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি। কেউ টাকা না পেলে বিডিওকে জানাবেন। এখন কর্মশ্রী চালু করেছি আমরা। গত মাস থেকে। ৫০ দিন পর্যন্ত জবকার্ড হোল্ডাররা কাজ পাবেন, টাকা আমরা দেবো। ৬০ দিন কাজ করতে পারলে তাও করে দেব। এর জন্য দিল্লির পায়ে পড়তে হবে না। আসতে আসতে বাড়ি করে দেব। ৪৩ লক্ষ হয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খুনের চেষ্টার অভিযোগে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের ৩ বছরের কারাদণ্ড

কালনায় হোমে ১০ বছরের ছাত্রের ‘রহস্যমৃত্যু’ ঘিরে চাঞ্চল্য

সাঁইথিয়ায় সরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা!পা পিষে দিয়ে চলে গেল মহিলা যাত্রীর

বামেদের উত্তর কন্যা অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিলিগুড়ি

চার বছরের প্রেমে ছ্যাঁকা! বারান্দায় ধর্নায় বসে প্রেমিকের বিয়ে আটকালেন তরুণী

খেলার বল নিয়ে বিবাদের জেরেই ৪ বছরের শিশুকে খুন, ডোমজুড়ে গ্রেফতার নাবালক

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর