নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্তর বুধবার ছিল ১৩৮ তম জন্মদিন । কালিঘাট কেওড়াতলা শ্মশানে মূর্তিতে মাল্যদান করতে যান মন্ত্রী ও কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।সঙ্গে ছিলেন মালা রায় ও রাজবিহারীর বিধায়ক দেবাশীষ কুমার। আগামীকাল ও পরশু কলকাতা পুরসভার পুরো কর্মচারীরা কর্ম বিরতি করবেন বলে ডাক দিয়েছেন। তারা কেউ কাজে যোগ দেবেন না বলেও জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
এ প্রসঙ্গে,রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন- শহর কলকাতার মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়া উচিত। তাদের প্রদেয় ট্যাক্সের টাকায় কলকাতা পৌরসভার পৌর কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়। পৌর কর্মচারীরা শহর কলকাতার মানুষকে পুরো পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। যারা কাজে যোগ দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার যে আইনানগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কলকাতা পুরসভা তা বাস্তবায়িত করবে। কিছু সংখ্যক পুরো কর্মচারী এ সমস্ত কিছু করতে চাইছে। সিংহভাগ পুরো কর্মচারী শহর কলকাতার মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চায়। যাদের কাজ করতে অসুবিধা হবে, তারা তাদের সার্ভিস থেকে অব্যাহতি নিতে পারেন। পুরো কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কর্ম বিরতির ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে এভাবেই কটাক্ষ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
অন্যদিকে পাহাড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে যে বন্ধ এর ডাক দেওয়া হয়েছে,তার তীব্র সমালোচনা করলেন এদিন ফিরহাদ হাকিম। যদিও এই বন্দ সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন,সমতলে ইতিমধ্যেই গ্রীষ্মের আবহাওয়া শুরু হয়ে গেছে। এই সময় বহু মানুষ পাহাড়ে বেড়াতে যান। এই সময় পাহাড়ের মানুষ পর্যটকদের পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হন। কিন্তু ফের যেভাবে পাহাড়ে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে,তাতে আখেরে পাহাড়ের মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই পাহাড়ের মানুষের স্বার্থ বিরোধী এই ধরনের পাহাড়কে অচল করার প্রয়াসকে এ রাজ্যের আপামর মানুষ সমর্থন করছেন না। পাহাড়ের মানুষও এই অচল অবস্থাকে মেনে নেবে না বলেও এদিন কার্যত পাহাড়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি আগামীকাল থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই বন্ধের ফলে পাহাড়ের ছাত্রছাত্রীরা যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে বলেও এদিন জানান তিনি।
বিজেপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ বলেন, কুঁজোর কখনো কখনো সোজা হয়ে বা চিৎ হয়ে শুতে ইচ্ছা করে। তার দাবি,এ রাজ্যে যে বিজেপির কোন সংগঠন নেই, কোন লোকজন নেই ,শুধুমাত্র মিডিয়ায় মুখ দেখাবার জন্য ও প্রচারে আসার জন্য এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে। এদিন এই ভাষাতেই বিজেপিকে ফের কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে বলছেন অনেক টাকা উদ্ধার হচ্ছে অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। এ সব মিডিয়া ট্রায়ালে না রেখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট মহামান্য আদালতের কাছে পেশ করা উচিত। মহামান্য আদালত বিচার করে যে রায় দেবেন সেই রায় মেনেই আসল সত্যকে সামনে আনতে হবে,বলে এদিন সাফ জানালেন ফিরহাদ হাকিম।