নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর নীতি কার্যকর হবে দলে। একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানান, এই নীতি তিনি কার্যকর করবেনই। কিন্তু এই নীতির জেরেই দলের অন্দরে শুরু হয় দ্বিধাবোধ। যার প্রেক্ষিতে গত দু’দিন ধরেই ফেসবুক কিংবা টুইটারে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব ও ছাত্র নেতারা প্রচার করতে থাকেন ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ কার্যকর করতে। যার সমর্থনে এগিয়ে আসেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নীশা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু এই নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নেত্রীর অনুমোদন ছাড়াই হচ্ছে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।
এদিন পরিবহণমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ নেত্রী অনুমোদন করেন না। সভানেত্রী নতুন ভাবে নীতি নির্ধারণ করবেন। দলনেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটাই সর্বধার্য। আমাদের নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, দলে সেই সিদ্ধান্তই হবে। দলে আমরা সেই প্রতিশ্রুতিও নিয়েছিলাম। তাই এই ধরনের পোস্টের অনুমোদন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দেয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্যাম্পেন হচ্ছে। এই দল অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। এই দলের পুরোটাই আমরা সভানেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। দল চালানোর জন্য যখন যেটা দরকার, সভানেত্রী সেটা করবেন আবার চেঞ্জও করতে পারেন। এটা কোনও ভুল বোঝাবুঝি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রেখেই দল চলে।’
বিগত কিছুদিন ধরেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে প্রচার চলছে। যা কোনওমতেই নেত্রীর অনুমোদন যোগ্য নয় বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাই তিনি তৃণমূলের সকল নেতৃত্বকেই সেই প্রচার থেকে সরে আসতে আর্জি জানিয়েছেন।