নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের আইন মেনে নির্বাচন কমিশনের প্রদেয় রাজনৈতিক দলের তকমা ধরে রাখতে গেলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই প্রতি ৩ বছর অন্তত সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলতে হয়। তবে কোভিডের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই সেই সাংগঠনিক নির্বাচন সারতে পারেনি। তবে তৃণমূল কোভিডের এই তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও নিজেদের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে। মঙ্গলবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। ৩১ মার্চের মধ্যে সেই নির্বাচনের পালা শেষ করে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রীই থাকছেন, কিন্তু দলের সংগঠনকে এবার সর্বভারতীয় রূপ দেওয়া হতে পারে। সেই জায়গায় মমতার পরেই স্থান হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের রাজ্য সভাপতি পদেও সুব্রত বক্সি থেকে যেতে পারেন। কিন্তু এই ৩ পদ ছাড়া প্রায় সব পদের, তা সে বুথস্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত নির্বাচন হবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। তারপর থেকে একে একে বুথ কমিটি থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন চলবে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কোভিড বিধি মেনে দলের সর্বস্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। সেই দিনই তৃণমূলের কার্যকরী সমিতির ঘোষণা করা হবে।’ উল্লেখ্য ২০১৭ সালে শেষবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হয়েছিল। সে বার একমাত্র দলনেত্রী পদে নির্বাচন হয়। তাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। সম্ভবত অভিষেক ও সুব্রত বক্সিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন। বাকি পদগুলিতে নির্বাচন হতে পারে।