এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সন্দেহ নেই মমতার সেরা বাজি, গোপালকৃষ্ণ গান্ধি

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই দিনের দিল্লি সফর শেষে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে মমতার এই সফর এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন(Presidential Election) নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক তৎপরতা কতখানি সফল বা বিফল হল! আশা করা হয়েছিল, বুধবারে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের বৈঠকেই বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত ও ঘোষিত হয়ে যাবে। হয়েও যেত, যদি না শরদ পাওয়ার বেঁকে বসতেন। কেননা মমতা সহ কংগ্রেসও তাঁকেই প্রথম পছন্দ হিসাবে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু শরদ পাওয়ার রাজি না হওয়ায় চূড়ান্ত হল না বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর নাম। তবে মমতা দীর্ঘদিন ধরেই শরদকে চেনেন। তাই এটাও জানেন, শরদের দীর্ঘদিনের অভিলাষ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। তাই মমতা আগে থেকেই দুটি তুরুপের তাস লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজের আঁচলে। শরদ বেঁকে বসতেই সামনে চক্লে এল দুটি নাম ফারুক আবদুল্লা ও গোপাল কৃষ্ণ গান্ধি(Gopal Krishna Gandhi)। আর এরপরেই দেশজুড়ে সব ওয়াকিবহালরাই মানছেন ও বলছেন, মহাত্মা গান্ধির পৌত্র গোপাল কৃষ্ণ গান্ধিই মমতার সেরা বাজি। কেননা তাঁকে না মোদি না বলতে পারবেন, না কংগ্রেস(INC)।

ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মমতা চেয়েছিলেন দ্রুত বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে। কিন্তু তা হয়নি। এটা যদি তাঁর বিফলতা হয় তাহলে এটাও মানতে হবে মমতার এই উদ্যোগের জন্যই আজ কিছুটা হলেও বিজেপিকেও তাঁদের রণকৌশল বদলাতে হচ্ছে। গায়ের জোরে, সংখ্যার জোরে কাউকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে চাপিয়ে না দিয়ে তাঁরাও এখন সর্বসন্মতির ভিত্তিতেই প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে। কেননা তাঁরা এটা বুঝেছে অঙ্কের হিসাবে মমতা সব বিজেপি বিরোধীদের ভোট এক বাক্সে এনে দিলে সেটা মোদির কাছে বড় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দিত। আর মমতার প্রার্থী রাইসিনায় পৌঁছে গেলে সেটা ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতো বিজেপির কাছেও। তাই তাঁদেরও ব্যাকফুটে গিয়ে সর্বসন্মত প্রার্থীর কথা বলতে হচ্ছে। মমতা সহ নিতীশ ও কংগ্রেসকে ফোন করতে হচ্ছে। এটা মমতার তৎপরতার জন্যই সম্ভব হয়েছে। সেই হিসাবে তিনি চূড়ান্ত সফল।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব বিজেপি(BJP) বিরোধী দলকে একত্রিত করার যে প্রয়াস মমতা শুরু করেছিলেন তা ঘিরে প্রথম থেকেই অনেক প্রশ্ন ছিল। কটি দল উপস্থিত হবে, কয়জন নেতা উপস্থিত হবেন, সবাই মমতার প্রস্তাব মেনে নেবেন কিনা, এইসব। কিন্তু বুধবার দিল্লির বৈঠক দেখিয়ে দিল দেশের আর কোনও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল মমতার কথায় রাজি হোক বা না হোক বাম ও কংগ্রেস এখন রাজি হবে। কার্যত রাজি না হয়েও তাঁদের কোনও উপায় নেই। কেননা নিজ শক্তিতে তাঁরা কাউকেই জিতিয়ে রাইসিনায় পৌঁছে দিতে পারবেন না। আর সেই জায়গা থেকেই দুই মমতা বিরোধী দলই বুধবারের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। আর প্রশ্ন যেখানে আঞ্চলিক দলগুলির সেখানে বিজেপি বিরোধী সব দলই মমতার প্রার্থীকেই মেনে নিতে বাধ্য হবেন। বিশেষ করে টিআরএস, আপ, আরজেডি, ডিএমকে’র মতো রাজনৈটিক দলগুলি কোনও ভাবেই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারবেন না। তাঁরা বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠান বা না পাঠান মমতার প্রার্থীকেই ভোট দিতে বাধ্য থাকবেন।

এই হিসাব বিজেপির মাথাতেও আছে। আর সেই কারণেই তাঁদের রণকৌশলেও পরিবর্তন এসেছে। বুধবারের বৈঠকে স্পষ্ট ভাবে কোনও নামের পাশে সিলমোহর না পড়ায় মমতা জানিয়েছেন, বিজেপি আগে তাঁদের প্রার্থীর নাম সামনে আনুক। তা নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। ধরেই নেওয়া যাচ্ছে বিজেপি এখন মমতার সঙ্গেই আলোচনাতে সব থেকে বেশি জোর দেবে। কেননা নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরেও কোনঠাসা অবস্থা মোদি সরকারের। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য বিজেপিও এখন চাইছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বার্তা সবাইকে দিতে যে তাঁরাও চান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে। আর এখানেই খুব দ্রুত বিজেপির তরফেও কারও নাম ভাসিয়ে না দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। কেননা সেক্ষেত্রে মমতা তাঁর প্রার্থীকেও পাল্টা দাঁড় করিয়ে দেবেন। তাই মমতার এই দুই দিনের দিল্লি সফর ব্যর্থ এটা মোটেও বলা যাচ্ছে না, বরঞ্চ তিনি বিজেপির পায়ে শেকল পরিয়ে দিতে ১০০ শতাংশই সম্ভব হয়েছেন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনছেন না কেন, রাজ্যপালকে নিশানা অভিষেকের

বিজেপির বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

সন্দেশখালি নিয়ে ট্যুইট মমতার, নিশানায় বিজেপি, তোপ অভিষেকেরও

শ্লীলতাহানিকাণ্ডে রাজভবনের কাছ থেকে  সিসিটিভি ফুটেজ চাইল লালবাজার  

RERA’র নির্দেশে সুদে আসলে ২১ লক্ষ টাকা ফেরত পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর