নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজভবনের ঠাণ্ডিঘরে বসে কারণে-অকারণে টুইট করে প্রায়শই নেটা-নাগরিকদের রসিকতার মুখে পড়তে হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। কিন্তু ঢুঁশ খেয়েও হুঁশ ফিরছে না বাংলার নব্য ‘ছোটলাটের’। বুধবার ফের একবার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুলে লিখে নেটা নাগরিকদের বিদ্রুপের মুখে পড়েছেন। যদিও দুপুর দুটো পর্যন্ত সেই ভুল শোধরানোর পথে হাঁটেননি বঙ্গের নব্য ‘ছোটলাট’।
মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। টুইট করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে বিশেষ ভাষণও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের পথে হেঁটে এদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসরে নামেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
পরম শ্রদ্ধেয় হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকালে এক টুইটে রাজ্যপাল ধনকড় লেখেন, ‘পরমব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচন্দ্র ঠাকুরের ২১১তম জন্মবার্ষিকীতে নতমস্তকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং সারাজীবন নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর শিক্ষা আমাদের মন থেকে হিংসার সংস্কৃতি দূর করেছে ও আধ্যাত্মিকতার জন্ম দিয়েছে।’
ধনকড়ের টুইট ঘিরে হইচই পড়ে যায়। মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা যে হরিচন্দ্র নয়, হরিচাঁদ ঠাকুর, রাজ্যপালকে তা স্মরণ করিয়ে দেন সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক নেটা নাগরিক। কটাক্ষের সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘শ্রদ্ধা হৃদয় থেকে আসে।’ কুশল দেবনাথ নামে আর এক নেটা নাগরিক লিখেছেন, ‘স্যর, হরিচাঁদ ঠাকুর সারাজীবন দলিতদের জন্য লড়াই করেছিলেন। অথচ আজ বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিতরা চরম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।’