এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতার পথে হেঁটেই বিজেপি শাসিত অসমে দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of Bengal) তথা তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বাংলার ক্লাবগুলিকে ক্রীড়াক্ষেত্রে অনুদান দেওয়া যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা নিয়ে একসময় গেল গেল রব তুলেছিল বিরোধীরা। আবার দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান(Government Donation for Durga Puja) দেওয়া নিয়েও কিছু কম চিৎকার চেঁচামেচি করেনি গেরুয়া শিবির। এমনকি সেই অনুদান ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্টেও বেনামে মামলা ঠুকেছিল পদ্মশিবির। যদিও কোনও কিছুতেই তাঁরা এখনও সেভাবে কিছু লাভের মুখ দেখতে পায়নি। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে মমতা দিলেই ‘গেল গেল’ রব, আর নিজেদের শাসিত রাজ্যের সরকার দিলে তখন সব শুদ্ধ। এই এখন যেমন মমতার দেখানো পথে হেঁটেই অসমের(Assam) বিজেপি(BJP) সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের ৬,৯৫৩টি দুর্গাপুজো পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এখন আর কোনও প্রশ্ন উঠছে না, সরকারি টাকায় কেন দুর্গাপুজো হবে? পুজোতে রাজ্য সরকার কেন টাকা দেবে? হয়তো গুয়াহাটি হাইকোর্টে এই নিয়ে কোনও মামলাও হবে না! যত দোষ শুধু মমতার বেলাতেই।

বিজেপি শাসিত অসমে দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে রাজ্যের ৬,৯৫৩টি পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রসঙ্গে অসমের পর্যটন মন্ত্রী জয়ন্ত বড়ুয়া বলেন, ‘মন্ত্রিসভার সম্মতিক্রমে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’ মমতাও তো মন্ত্রিসভার সম্মতিক্রমে পুজোকমিটিগুলিকে টাকা দেন। তাহলে তখন প্রশ্ন কেন তোলে বিজেপি? এবছরেও তো মমতা রাজ্যের পুজো কমিটিগুলি ৭০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। অসমেও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার বেলায় কোনও দোষ নেই। যত দোষ মমতা কিছু দিলেই। স্বাভাবিক ভাবেই এখন হিমন্ত সরকারের অনুদানের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বিজেপির উচিত নাকখত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া। বাংলার সমস্ত প্রকল্পের অনুকরণ করে ওরা। আবারও ‘মমতা মডেল’-এর নকল হল। তাই মমতার সমালোচনার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির।’

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরের বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ক্লাবগুলির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন। বাছাই করা ক্লাবগুলি প্রথম বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা এবং পরবর্তী ৩ বছর ১ লাখ করে মোট পাঁচ লাখ টাকা পেত। যদিও কোভিড পর্বে, ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পে অর্থ দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই অনুদান আর দেওয়া হবে না। এবার হয়তো দেখা যাবে মমতার এই নীতিকেও নকল করে দেশের বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে শুরু করেছে সেখানকার রাজ্য সরকার। সেই ঘটনা পদ্মশিবিরের মধ্যে থেকে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। কোনও মামলা দায়ের হবে না। যত প্রশ্ন আর মামলা শুধু মমতা কিছু দিলেই। এই দ্বিচারিতা দেশের মানুষের কাছেও এবার ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এমনিতেই মা ফ্লাইওভার বা কলকাতার উন্নয়নের ছবি তুলে ধরে যোগী রাজ্যের উন্নয়নের ভুয়ো ঢোল পেটানো হয়। এবার মমতার দেখানো রাস্তায় হেঁটেই অসমে সরকারি অনুদান পেতে চলেছে সেখানকার পুজো কমিটিগুলি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিজের স্ত্রী, মা, ৩ সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা যুবকের, তদন্তে পুলিশ

উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, চলন্ত গাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই বর-সহ চার যাত্রী

দিল্লিতে ব্যপক ধূলোঝড়ে গাছ পড়ে নিহত ২, আহত ২৩

নওশাদের জমি কাড়তে এবার ভাঙড়ে জনসভা অভিষেকের, ত্রস্ত আইএসএফ

দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতী ও তার বন্ধুর ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা

সোমবার পর্যন্ত বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর