নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য ছিল ‘লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ’। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে খবর মিলেছিল, লক্ষ ভিড়ে লক্ষ্যপূরণ হবে না। আর তারপরেই বাতিল হয় প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister of India) ব্রিগেড সফর। রবি সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে কলকাতার(Kolkata) ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে(Brigade Parade Ground) ‘লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাই দেখা মিলছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi)। তবে সশরীরে নিজে না এলেও ব্রিগেডকে বার্তা পাঠিয়েছেন মোদি। এসেছে তাঁর চিঠি যা পাঠ করা হবে এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে। যদি হতাশায় নিমজ্জিত, কোন্দলে জর্জরিত, হারের পর হারে বিধ্বস্ত বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP) কিছুটা চাঙ্গা হওয়ার রসদ খুঁজে পায়। সূত্রে জানা গিয়েছে, শনি রাতেই বঙ্গ বিজেপির হাতে এসে গিয়েছে মোদির বার্তা।
এদিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই হবে মোদির চিঠিপাঠ। ব্রিগেডে পাঠানো চিঠিতে মোদি লিখেছেন, ‘সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের উদ্যোগে কলকাতায় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচির যে আয়োজন করা হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটাই আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও আমাদের শক্তি। সেই মহাভারতের সময় থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, বর্তমান সময়েও গীতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গীতা জ্ঞানের ভান্ডার। জীবনের চালিকাশক্তি। ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবনযাপনের এবং অগ্রগতির বহু পরস্পর সংযুক্ত পথ দেখায় গীতা। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে এত মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকেই আরও জোরদার করবে। দেশের উন্নয়ন-যাত্রার ক্ষেত্রেও যা আবশ্যক। উন্নত, শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার জন্য ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সুযোগ আছে। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ সকলের জন্য শান্তি নিয়ে আসুক। আয়োজকদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
বিজেপি সূত্রে খবর, মোদীর এই বার্তা রবিবার ব্রিগেডে পাঠ করা হতে পারে। কর্মী, সমর্থক এবং আয়োজকদের উৎসাহ তাতে আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে বিজেপি সামনে থেকে এই কর্মসূচির নেতৃত্বে নেই। দলের নেতারাও কেউ মঞ্চে থাকবেন না। তাঁরা সকলেই রবিবার ব্রিগেডে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায়। রবি ভোর থেকেই ব্রিগেডে জমায়েত শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা প্রান্ত থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মানুষ। বাংলার বিজেপি নেতারা সকলেই সকাল ৯টার মধ্যে ব্রিগেডে পৌঁছে যাবেন বলে খবর। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। বিজেপি শিবিরে এই কর্মসূচি নিয়ে উন্মাদনা কম নেই। দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার অনেক রাতে ব্রিগেডে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গীতাপাঠের যাবতীয় প্রস্তুতি তিনি খতিয়ে দেখে এসেছেন। গীতাপাঠের আগে ব্রিগেডে নজরুল সঙ্গীতও গাওয়া হবে।