নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কালীপুজোর রাতে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলা-রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই দেদার চলল বাজির তাণ্ডব। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের কোনও প্রান্তই শব্দবাজির লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েনি। আলোর উৎসবের দিন বাজির তাণ্ডবের জেরে পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ। তাই কালীপূজোর রাতে ২২ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ বাজিও। দীপাবলির দিন রাত বাড়তেই ধীরে ধীরে একাধিক এলাকায় পরপর সশব্দে বাজি ফাটতে থাকে। জন বসতি থেকে শুরু করে হাসপাতাল চত্বরেও চলেছে বাজির তাণ্ডব।
আর জি কর হাসপাতাল এলাকায় তা ৬০ ডেসিবেল পর্যন্তও উঠে যায়। দীপাবলির আগে সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা ছিল, শুধুমাত্র সবুজ বাজিই পোড়ানো যাবে এবং সেটাও রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের এলাকা মূলত ‘সাইলেন জোন’ হিসাবে চিহ্নিত, সেখানে কোনওরকম বাজি পোড়ানোরই কথা নয়। তবুও সেখানে হয়েছে দেদার বাজির তাণ্ডব। পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পর্ষদের আধিকারিকরা বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য অন্য বছরের মতোই কন্ট্রোলরুম খুলেছিলেন।
তবুও কালীপুজোর রাতে কমল না বায়ু দূষণ। বাংলার দূষণ পর্ষদের তরফে জানান হয়েছে, তপসিয়ার ফ্লোরা ফাউন্টেনের মতো আবাসিক এলাকায় এদিন রাত সাড়ে ১১টায় শব্দমাত্রা ছিল ৭৩.৭ ডেসিবেলের মতো, বাগবাজারে ৮২.১, কসবা-গোলপার্কে ৮২.১ ডেসিবেল। বাতাসের দূষণের নিরিখে দিল্লিকে সমান তালে পাল্লা দিল কলকাতা। আদালতের নির্দেশে সবুজ বাজি পোড়ানোর ফলে খাতায়কলমে দূষণের মাত্রা কতটা কমলো তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।