নিজস্ব প্রতিনিধি: বার বার বাধা পাচ্ছে অভিযান। থেমে যাচ্ছে উদ্ধার কাজের প্রক্রিয়া। তাই এ বার উত্তরাখন্ডের(Uttarakhand) উত্তরকাশীর(Uttarkashi) ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন কর্মীকে বার করে আনতে অত্যাধুনিক খনন যন্ত্রের বদলে শাবল, গাঁইতি, কোদালের মাধ্যমে খোঁড়ার কাজ শুরু করতে পারেন উদ্ধারকারী শ্রমিকেরা। কিন্তু ভেতরে আটকে থাকা মানুষদের পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা এখন ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় উদ্ধারকার্যে প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister of India) নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) হস্তক্ষেপ চাইলেন উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা বাংলার ৩ শ্রমিকের একজন জয়দেব প্রামাণিকের(Jaydeb Pramanik) বাবা তাপস প্রামাণিক। শনিবাত তিনি বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু, এবার তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাই। তাঁর হস্তক্ষেপ ছাড়া উদ্ধার কাজ শীঘ্র করা সম্ভব নয়।’ তাঁর আশা, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে গোটা বিষয়ে আরও গতি আসবে।
দু’দিন আগেও জয়দেবের পরিবারে হালকা হলেও যে আশার আলো লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেটা শনিবার যেন সেটা উধাও। হুগলি জেলার আরামবাগে যেখানে জয়দেবের বাড়ি সেখানে গোটা এলাকাতেও একটা থমথমে ভাব। তাঁদের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা ক্রমেই আরও বাড়ছে। সকলের এখন একটাই প্রশ্ন, কবে উদ্ধার হবে? সকলেই চাইছেন জয়দেবদের দ্রুত উদ্ধার করা হয় যেন। তারপরেও এদিন খানিক হতাশার সুরেই তাপসবাবু জানিয়েছেন, ‘শুধু আমার ছেলে না, আমার ছেলের সঙ্গে যাঁরা আটকে আছেন তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করা হোক। এই আবেদনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে করছি। উনি কাজ করছেন। কিন্তু, ওনার সরাসরি হস্তক্ষেপ চাইছি। তাহলে দ্রুত আমাদের ছেলেরা ঘরে ফিরতে পারবে।’ প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ১৪ দিন মাটির নীচে আটকে রয়েছেন জয়দেবরা। কবে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশের।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে নামা ধসের শেষ প্রান্তে পৌঁছতে উদ্ধারকারীদের আরও বেশ কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। উদ্ধারকারী সংস্থাগুলির দাবি, ৫৭ মিটার ধসের বাধা সরাতে সরাতে অধিকাংশ পথই অতিক্রম করেছে খননের যন্ত্র অগার মেশিন। আর মাত্র কয়েক মিটার বাকি। সেই ধস খুঁড়ে ফেলতে পারলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে। কিন্তু সেই কয়েক মিটার খুঁড়তে গিয়েই বার বার ‘হোঁচট’ খাচ্ছে অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। শুক্রবার রাতে অগার যন্ত্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কাজ বন্ধ করতে হয়। যন্ত্রটি যে উঁচু জায়গার ওপর রেখে খননের কাজ চালানো হচ্ছিল, সেই জায়গাটিতেও নাকি আবার ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তার জন্যই থমকে যায় উদ্ধার কাজ। তাই কখন ওই ৪১ কর্মীকে উদ্ধার করা যাবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন।