নিজস্ব প্রতিনিধি : একটা সময়ে বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরে জোটের বৈঠকেই বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে নীতীশের মত পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। এখন যখন নীতীশের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেডিইউ নেতাকে ঠুকেই জানিয়ে দিলেন, নীতীশ চলে গেলে তা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে মঙ্গলজনক।
সূত্রের খবর, নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘নীতীশ কুমার বিহারে এখন জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। নীতীশ ছেড়ে চলে গেলে তা ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে ভালোই হবে। উনি বেরিয়ে গেলে তেজস্বী যাদবদের পক্ষে কাজ করতে সুবিধাই হবে’। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দেওয়া চা-চক্রে যোগ দিতে শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারে নতুন করে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, ‘পালটু কুমার’ নীতীশ কুমার ফের এনডিএ শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে চর্চা শুরু হয়েছে তা নিয়ে নিজের মতামত জানান তিনি। রাখঢাক না রেখে জানিয়ে দেন, ‘বিহারে যদি জোট করে লড়াই হত তাহলেও পাঁচ থেকে সাতটার বেশি আসন পাওয়া যেত না।’ পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট নিয়ে নিজের রাজ্যে তৃণমূলের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, বাংলায় একাই লড়বে তৃণমূল। বাকিটা পরে দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, বিরোধী বিরোধী দলগুলির প্রথম বৈঠক হয়েছিল পটনাতেই। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্যোগেই প্রথম বৈঠক হয়। বাংলায় এসে এক সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল নীতীশকে। তবে পরবর্তীকালে বিরোধী জোটের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা যায় জেডিইউ নেতাকে। ইন্ডিয়া জোটের নামকরণ নিয়েও এক সময়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এর আগে মুম্বইতে যখন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয়, তখন মাঝপথে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ।