নিজস্ব প্রতিনিধি : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পার্থকে আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে কি, ইডির কাছে এই কথাই জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইডির মামলাগুলি দায়ের করেছিল। ইডির মামলা দায়েরের পর প্রায় দেড় বছর হয়ে গিয়েছে। এখনই তগন্তকারী সংস্থার অবস্থান স্পষ্ট করা দরকার। এরপরই বিচারপতির ইডির আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, পার্থকে কি আর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ইডির আইনজীবী জানান, একজন মিডলম্যানের কাছ থেকে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি অবশ্য তদন্তের আওতায় আসেনি। তবে তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
এদিন আরও একবার অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থের সঙ্গে পার্থর কোনও যোগ নেই বলে সওয়াল করেন পার্থর আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এখন সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইছে। সমস্ত টাকার দায় তাঁর মক্কেলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া অর্থ যে তাঁর মক্কেলের, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর একাধিকবার পার্থর তরফে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু পার্থর সেই আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে যায়।