-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 4:19 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) প্রদেশ কংগ্রেস(Pradesh Congress) নেতৃত্বকেই কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিলেন খোদ সোনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)। কার্যত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury) ও তাঁর দলবলকে অগ্নিপরীক্ষার মুখে ঠেলে দিলেন তাঁরা। তাঁরা এখন শ্যাম রাখবেন না কুল রাখবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না। কেননা কংগ্রেসের(INC) শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গণতন্ত্র বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমমনস্ক নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় প্রতিহিংসার প্রতিবাদ হবে একযোগে। মানে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লেলিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার যেভাবে বিরোধীদের শায়েস্তা করার পথ ধরেছে তার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা পদক্ষেপ করছে সোনিয়া রাহুলের দল। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে, বাংলার বুকে ED-CBI’র মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি যেভাবে তৃণমূলের(TMC) নেতা-মন্ত্রী থেকে বিধায়ক সাংসদদের যেভাবে ডকে পাঠাচ্ছে তা নিয়ে এতদিন তীব্র কটাক্ষের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য ছুঁড়ে দিতেন অধীর ও তাঁর দলের লোকেরা। কিন্তু তাঁরা এবার কী করবেন এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
দেরীতে হলেও কংগ্রেস নেত্যৃত্ব এটা বুঝতে পেরেছে যে তাঁরা জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ছে। সংসদে বা সংসদের বাইরে তাঁদের ডাকা বৈঠকে যত বিজেপি বিরোধী দলগুলিই হাজিরা দিন না কেন, ভোটের ময়দানে তাঁরা কেউ কংগ্রেসকে একইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবে না। কংগ্রেসকে একার জোরেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এখন তাঁদের পাশে জোট শরিক বলতে আছে কেবলমাত্র হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড পার্টি। আর আছে বামেরা। তাও তাঁরা জোট শরিক নয়। শিবসেনা ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট শরিক হলেও সেখানেও ‘সাভারকর’ প্রসঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ুতে এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে কংগ্রেসের জোট শরিক হলেও তাঁরাও যে লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ-তে থাকবে তেমন কোনও উজ্জ্বল ছবি দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই আঞ্চলিক দলগুলিকে বিজেপির বিরুদ্ধে একক শক্তিতে নিজ নিজ রাজ্যের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার যে রাস্তা দেখাচ্ছেন তাতেই ভিড় জমছে বেশি করে তাঁর পাশে।
আরও পড়ুন খোদ মোদি-শাহের গুজরাতেই ৩২ হাজারেরও বেশি স্কুলশিক্ষকের পদ শূন্য
মমতার তৃণমূল ছাড়াও লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, অখিলেশ সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস, দেবগৌড়া- কুমারস্বামীর ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দল, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এরা সবাই ক্রমশ এক হচ্ছেন। সেখানে আগামী দিনে শিবসেনা, ডিএমকে, জেডিইউ, এনসিপি যে আসবে না তা জোর গলায় কেউই বলতে পারবে না। এটা কংগ্রেস দেখতে ও বুঝতেও পারছে। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও বুঝতে পারছে একক ভাবে লড়াই কর্বে সারা দেশে কংগ্রেস ১০০টা আসনও পাবে না। তাহলে কেন্দ্রের সরকার তাঁরা গড়বে কীভাবে? তাই এখন আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানতে তাঁদের পরিকল্পনা সমমনোভাবাপন্ন দল ও বিজেপি বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে এবার থেকে যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি হুজ্জতিবাজি করে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সরব হবে, আন্দোলন করবে, পাশেও দাঁড়াবে। আর এখানেই অগ্নিপরীক্ষার অধীর আর তাঁর দলের। তাঁরা ED-CBI’র বিরুদ্ধে আদৌ তৃণমূলের পাশে দাঁড়াবেন? বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Abhishek Banerjee) আক্রমণ করলে প্রদেশ কংগ্রেস তাঁদের পাশে দাঁড়াবে? কার্যত বাংলার বুকে প্রদেশ কংগ্রেস ও বাম উভয়েই তো বিজেপির বি-টিম হিসাবে খেলছে। এরা কীকরে মমতা, অভিষেক বা তৃণমূলের পাশে দাঁড়াবে!