নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বারংবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে দেশের মিডিয়ার বড় অংশকেই তাঁরা কিনে নিয়েছে। এবার তাঁর অভিযোগ বাংলারই নিম্ন আদালতগুলির ভূমিকা নিয়ে। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি অভিযোগ জানালেন লোয়ার কোর্টে(Lower Court) বিজেপির(BJP) সদর দফতর থেকে নির্দেশ আসছে। নজরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বিচারবিভাগের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, নিম্ন আদালতে সরাসরি বিজেপি অফিস থেকে নির্দেশ আসে। বিচারব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করে চলেছে গেরুয়া শিবির। কার্যত বিচারবিভাগের প্রতি সম্মান জানিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থার একাংশকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আনেন মমতা।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, ‘বিচারবিভাগকে সম্মান করি। সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) নিয়ে কিছু বলব না। কিন্তু লোয়ার কোর্ট, সেখানে বিজেপির সদর দফতর থেকে নির্দেশ আসছে। সেখান থেকে ড্রাফটিং আসে। আর বললেই বিজেপি বলে, আমরা তো কিছু করিনি। আদালত বলেছে। ওদের কথা না শুনলে সরিয়ে দেবে। চিফ জাস্টিস হতে চাইলে ৭৫ দিন নষ্ট করে দেবে।” পুলিশ কর্তা থেকে প্রধান বিচারপতিদের যে আঞ্চলিক ভাষা জানার প্রয়োজন রয়েছে তা নিয়েও এদিন সওয়াল করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনও এলাকায় কেউ পুলিশে কাজ করে। তাঁকে তো স্থানীয় ভাষা জানতে হবে। চিফ জাস্টিসের(Chief Justice) সার্ভিসে অন্তত আঞ্চলিক ভাষা জানার লোক পাঠান। সেটা পাঠাবে না। যারা আঞ্চলিক ভাষা জানবেন, তাঁদের সরিয়ে দেবে। সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না।’ এর পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিশানা বানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও।
মমতার বক্তব্য, ‘আপনারা আমাদের ফেস্টিভ্যালটাকেও ছাড়লেন না। ওরা আগে বলত, তৃণমূল বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আমরা পুজোকে প্রোমোট করে করে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে এলাম। আর যেই ইউনেস্কো আমাদের হেরিটেজ ঘোষণা করে দিল, অমনি এখানে এসে ওদের নেতা বলল তৃণমূল অসুর। ওদের বিনাশ করতে হবে। আপনাদের অসুবিধা কী, আসুন আপনারা। আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’